গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করে সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নানা চক্রান্ত ও তৎপরতার পথ প্রশস্ত করছে বলে মনে করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। শনিবার (২৮ অক্টোবর) জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটি এক জরুরি সভা সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আলোচনা করেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ)-সহ সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
সভা থেকে নেতারা এক যুক্ত বিবৃতিতে বিএনপির সমাবেশে দফায় দফায় পুলিশি হামলা, সমাবেশ পণ্ড করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান।
সমাবেশের পূর্বানুমতি থাকা সত্ত্বেও তল্লাশির নামে হয়রানি, সমাবেশে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এমনকি সমাবেশের মাইক বন্ধ করে দিয়ে সরকার চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছে।
গণতান্ত্রিক জোট নেতারা বলেন, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশও ধ্বংস করে সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নানা চক্রান্ত ও তৎপরতার পথ প্রশস্ত করছে।
নেতারা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়া, সরকারের পদত্যাগ এবং দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট সমাবেশে হামলা, নির্যাতন ও সভা সমাবেশ পণ্ড করার প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ৩০ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন