নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ থাকায় নির্বাচন কমিশনের চিঠি ফেরত নিয়ে গেছে কমিশনের একজন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মো. মহসিন নামে কমিশনের এক কর্মকর্তা চিঠিটি নিয়ে আসেন। ওই কার্যালয়ের কাছাকাছি যেতে চাইলে এক পুলিশ সদস্য তাকে জানান, অফিস বন্ধ আছে এখানে কেউ নেই। পরে ওই কর্মকর্তা কার্যালয়ের পাশে হোটেল ভিক্টোরিয়াতে গিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই সময় তিনি বিএনপির অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনাসভায় অংশগ্রহণের জন্য এই চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপি মহাসচিব বরাবরে এই চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আবদুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা হবে।
এতে আপনার দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক মনোনীত দুজন প্রতিনিধিকে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনুরোধ জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরীফুল আলমের স্বাক্ষরে এই চিঠি দেওয়া।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট বন্ধ আছে। কার্যালয়ের পাশের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচলও বন্ধ আছে। গত ২৯ জুলাই থেকে ক্রাইম সিন স্টিকার দিয়ে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট তদন্ত করে ১১টি আলামত সংগ্রহ করে, যা এখন তাদের কেমিক্যাল পরীক্ষাগারে রয়েছে।
‘অফিসের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন নেই’
বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এবং সড়কের আইল্যান্ডজুড়ে প্রচুর ব্যানার-ফেস্টুন টানানো ছিল। তবে আজ সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিক সামনে ও চারপাশের বড় বড় ব্যানারগুলো দেখা যায়নি।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো নতুনভাবে সেট করা হয়েছে। কারণ ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের দিন সংঘর্ষে সিসি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
মন্তব্য করুন