ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করিম বলেছেন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা দেশে অশান্তি তৈরি করে দাবি আদায় করি না। ইসলামও এটা সমর্থন করে না।
গত ৩ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করিম। ইতোমধ্যে সেই সময় শেষ হয়েছে।
পরবর্তী করণীয় জানাতে রোববার (১২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানেই দলটির আমির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচি ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনটির আমির।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে সমাবেশ করে যে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সেটা সরকারের প্রতিনিধি বা সরকারপ্রধানকে সরাসরি জানিয়েছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় সমাবেশের মাধ্যমে, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না; হয়তো গ্রেপ্তার হতেও পারি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচি দাবি আদায়ে কতটা ফলপ্রসূ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে দলের আমির বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় রাজনৈতিক ঘরানার একটি উল্লেখযোগ্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আমরা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা দেশে অশান্তি তৈরি করে দাবি আদায় করি না। ইসলামও এটা সমর্থন করে না। তবে বর্তমান সরকার যে কার্যক্রম করছে এটা যে সম্পূর্ণ অনৈতিক, এটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪ কর্মসূচি-
নির্বাচন কমিশন একতরফা তপশিল ঘোষণা করতে চাইলে তপশিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে।
তপশিল ঘোষণার পরদিন সারাদেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল।
আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন।
জাতীয় সংকট নিরসনে সকল রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর সোমবার ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন