বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান, শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনে এনে রাজধানীতে বিক্রি করার কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
আজ ১৪ নভেম্বর, (মঙ্গলবার) রাজধানীর মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে কর্মসূচি উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। রাজধানী ঢাকার ৬টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।
কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
সভাপতি ও উদ্বোধকের বক্তব্যে বাংলাদেশ যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আজ থেকে রাজধানীর ৬টি পয়েন্টে সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে সবজি কিনে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। নিয়মিত চলবে এ কর্মসূচি। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ-উৎপাদন বাড়াতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতায় মূল্যস্ফীতির কবলে প্রায় সব দেশ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশবিরোধী একটি শত্রুচক্র দেশের মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করায় তারা এখন চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। কিন্তু যে কোনো মূল্যে এ অপশক্তিকে আমরা রুখে দেব।’
বাংলাদেশ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কৃষকের ওপর জুলুম হচ্ছে। বাজারে শাকসবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। অথচ কৃষকবঞ্চিত। কৃষককে ন্যায্য পাওনা দিতে এবং সাধারণ মানুষকে ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি বিতরণ করতে আজ থেকে বিভিন্ন সময়ে চলবে এ কর্মসূচি। দেশজুড়ে এক অপশক্তি সব কিছুর কৃত্রিম সংকট তেরি করে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছি। যেন মধ্যস্বত্ত্বাভোগীরা যে সিন্ডিকেট করে দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা করছেন। সেই সিন্ডিকেটের অবসান, কৃষক এবং সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই এই আয়োজন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের অরাজকতা, মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে কৃষিপণ্য যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে রাজধানীবাসীকে স্বস্তি দিতে কৃষকের ক্ষেত থেকে সরাসরি সবজি কিনে বিক্রি করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় বাংলাদেশে উন্নয়ন স্থাপনার বিপ্লব ঘটেছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার হৃদয় যে সব সময় এদেশের দুঃখী, নিপীড়িত মানুষের কষ্টে কাঁদে তার এক প্রকৃত উদাহরণ আজকের এই কর্মসূচি। তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় আমরা তিন সংগঠন কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনে সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করছি। এই কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা।
মন্তব্য করুন