২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। তারপরও যে কোনো প্রক্রিয়ায় এ ধরনের ফলাফলের জন্য সরকার চেষ্টা করবে বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার (২৬ জুন) ঢাকার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা চেষ্টা করছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য চেষ্টা করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ঈদের পরে আন্দোলনের প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তাতে দেশের মানুষ রাজপথে নামবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। আবার, রাজপথে দেশের মানুষ নামবে না তাও বলা যাচ্ছে না। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এদিকে আওয়ামী লীগ দল ও জান বাঁচাতে যে কোনো ভাবেই ক্ষমতায় থাকতে চাইবে। আওয়ামী লীগের ধারণা, রাজনৈতিক পট পরিবর্তন তাদের জন্য ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিদেশিদের চাপ আছে। বিদেশিরা চায় দেশে যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। যত দিন যাবে ততই পরিষ্কার হবে বিষয়টি। কারণ, বিদেশিরা আরও চাপ দেবে এবং সরকার তার কতটা সহ্য করতে পারে। সরকার এক ধরনের চেষ্টা করবে, সরকারের বিরোধীরা এক ধরনের চেষ্টা করবে এবং বিদেশিরা এক ধরনের চেষ্টা করবে।
জি এম কাদের বলেন, ‘সরকার জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করার জন্য চেষ্টা করছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আমাকে জানানো হচ্ছে, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নেতিবাচক রিপোর্ট গণমাধ্যমের ওপর করতে চাপ সৃষ্টি করছে।’
মন্তব্য করুন