শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির স্লোগানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি)। গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের দীর্ঘ এই পথচলায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির জন্ম ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি। প্রতিষ্ঠাকালীন এ সংগঠনের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু করে সংগঠনটি।
পরে সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিকে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে বাংলাদেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ছাত্রলীগ বাংলাদেশের সব অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ সংগঠনের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতা-পরবর্তী স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছিল সক্রিয় ভূমিকা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে কর্মসংস্থান’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে সংগঠনটির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদলের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
কর্মসূচির মধ্য আরও রয়েছে সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, সকাল ১০টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ শাখার নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা করতে গতকাল বুধবার ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন