১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, এই নির্বাচন জনগণের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একদলীয় অবস্থান। কারণ, এই ডামি নির্বাচন সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে না।
তারা আরও বলেন, ৭ তারিখের ডামি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আওয়ামী লীগের, বিএনএমের প্রার্থী আওয়ামী লীগের, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের। জনগণের পকেটের টাকায় মামা আর ভাগিনার লুটপাটের মেলা সাজানো হয়েছে। আসুন, সবাই ৭ তারিখ ভোট বর্জন করি। এই সরকারকে না বলি।
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর ডাকে একতরফা ভোট বর্জন এবং অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর, পল্টন ও প্রেস ক্লাব এলাকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই একতরফা নির্বাচন জনগণ ও দেশের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে আমাদের বিশ্বাস, আগামী ৭ তারিখ আওয়ামী লীগের মনোনীত ডামি প্রার্থীদের ভোট দিতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। শুধু আগামী ৭ তারিখ সরকারের পক্ষ থেকে নতুন এমপিদের নাম ঘোষণা করার আনুষ্ঠানিকতা হবে। আসুন, আমরা সবাই ৭ তারিখের ভোট বর্জন করি। এই সরকারের পতনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হই।
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস জনগণকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার ভোটের নামে নাটক মঞ্চস্ত করতে চলেছে। এই নির্বাচন দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না, বরং দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই আসুন, সবাই মিলে নির্বাচন বর্জন করি।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনের নামে ফের তামাশার আয়োজন করেছে। জনগণ ইতোমধ্যে এই নির্বাচনী তামাশা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বলব, নির্বাচনী নাটক আর প্রচারণার নাটক মঞ্চস্ত করা বন্ধ করুন। ৭ তারিখ দেশে কোনো ভোট হবে না।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান বলেন, জনগণ মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকার এখন দেশে-বিদেশে ব্যর্থ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি একতরফা ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে জনগণ পতনের গ্যারান্টি কার্ড আওয়ামী লীগের হাতে ধরিয়ে দেবে। তাই সরকারকে বলব, অবিলম্বে একতরফা নির্বাচন বাতিল ও পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক চৌধুরী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব শওকত আমিন।
গণসংযোগ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, কাজী মো. নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদদীন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ এলডিপি যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সাল আহমেদ, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান পিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হাই নোমান, জাহাঙ্গীর আলম সানি, গোলাম মুর্তজা মানিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবদুল মনসুর ভূঁইয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মো. লিটন খান রাজু, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, আবু ইউসুফ সুমন, জসিম উদ্দিন, এরশাদুর রহমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, মো. ফাহিম হোসেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন