৭ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে করা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় হামলাকারীদের আক্রমণে দলটির সাতজন নেতা আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দাবি, ঢাকা-৮ আসনের সরকারদলীয় এমপি প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাসিমের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে তাদের ওপর এই হামলা করা হয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এক বিবৃতিতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে যোগদানের জন্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির একটি মিছিল পার্টির কার্যালয় থেকে রওনা হয়েছিল। জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাওয়ার পথে সেগুনবাগিচা হাইস্কুলের সামনে ঢাকা-৮ আসনে সরকারদলীয় এমপি প্রার্থী বাহাউদ্দিন নাসিমের নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে ৪০-৫০ জন লোক অতর্কিতভাবে মিছিলে হামলা করে। তারা পার্টির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় আওয়ামী লীগের হামলায় পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, কবি জামাল শিকদার এবং ঢাকা মহানগরের নেতা মেহেদী হাসানসহ সাতজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারি দলের নেতাকর্মীরা এতই বেসামাল ও বেপরোয়া যে, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিলকেও তারা সহ্য করতে পারছে না।
সাইফুল হক বলেন, হামলা-মামলা এবং আতঙ্কের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে সরকার ও সরকারি দল আরও একটি একতরফা-পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো অবৈধ ক্ষমতা নবায়ন করতে চায়। বিপ্লব ওয়ার্কার্স পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ প্রায় ৬৩টি বিরোধী রাজনৈতিক দল সরকারের এই অবৈধ পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংগ্রাম করে আসছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী ৭ তারিখের নির্বাচন বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করে এই সরকারকে বিদায় জানানো হবে। কোনো হামলা আক্রমণের কাছে জনগণ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি মাথানত করবে না। তিনি অবিলম্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মিছিলে হামলা, আক্রমণ ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
মন্তব্য করুন