আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে ‘স্বেচ্ছায় প্রতিবাদী লক ডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পার্টি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এ ঘোষণা দেন।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিনকে দেশ ও জাতির জন্য গভীর অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো দিন হিসেবে অভিহিত করেছে দলটি। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এবি পার্টির কর্মসূচিতে হামলা ও প্রচারপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে আজ রাজধানীর পল্টন, বিজয় নগর ও সেগুনবাগিচা এলাকার জনসাধারণ ও পথচারীদের মাঝে প্রতিবাদী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশি নিয়ে মঞ্জু বলেন, জোর জুলুম করে নির্বাচন এবং গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা ইতিহাসে নতুন কোন ঘটনা নয়। ইতিহাস বলে অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে সবসময় একদল সংগ্রামী লোক বুক টান টান করে দাঁড়িয়েছে। সে সকল সংগ্রামী লোকদের জন্যই আমরা বৃটিশ শাসন, পাকিস্তানী শোষণসহ সব সকল স্বৈরতন্ত্র থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে একসময় মুক্তি আসবে।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ৭ তারিখে একজনের ভোটেই সব নির্ধারিত হচ্ছে। এখানে জনগণের ভোটের কোন অধিকার নেই। ডামি প্রার্থী, ডামি রাজনৈতিক দল শুধু নয়, এখন ডামি ভোটারের আয়োজন চলছে।
তিনি বলেন, এবি পার্টি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন না হবে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী নাসির, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, আমেনা বেগম, মশিউর রহমান মিলু, রিপন মাহমুদ, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুবপার্টি মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন