বিরোধী দলবিহীন স্থানীয় সরকারের নির্বাচন কোনোভাবেই বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সার্টিফিকেট নয় বলে দাবি করেছে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। ছয়দলীয় এই জোটের পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো তালবাহানা না করে অবিলম্বে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার রাস্তা খুলে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।
শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভার প্রস্তাবে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভার প্রস্তাবে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, বিরোধী দল নয় বরং প্রধানমন্ত্রীর সরকার ও তার দল আর একটি একতরফা পাতানো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশকে অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত-সংঘর্ষের পথে ঠেলে দিচ্ছে। সংসদে ‘কেবল আওয়ামী লীগই সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়’- মর্মে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বক্তব্যও তথ্যভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সরকার ও সরকারি দল ২০১৪ এবং পরবর্তীতে ২০১৮ সালে একতরফা জালিয়াতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কেবল দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করেনি, তারা মানুষের ভোটাধিকারকেও কেড়ে নিয়েছে।
প্রস্তাবে বিদ্যমান গণআন্দোলনকে আরও জোরদার করতে আন্দোলনরত সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভার প্রস্তাবে আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চের ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন—জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়ক হাসিবউদ্দিন হোসেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহারসহ অনেকে।
মন্তব্য করুন