কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে : ইসলামী আন্দোলন

গ্রাফিক্স : কালবেলা।
গ্রাফিক্স : কালবেলা।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। শনিবার (২ মার্চ) গণমাধ্যেমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এর দায় সাধারণ জনগণ নেবে না।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই বলে আসছি যে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানি (গ্যাস ও কয়লা) সংগ্রহের জন্য বিনিয়োগ বাড়িয়ে কম খরচের বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হোক। কিন্তু সরকারের ভুল নীতির কারণেই বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এখন বৈদেশিক ঋণের শর্ত পূরণ করতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের নামে জনগণের কাঁধে এই মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, দেশের প্রখ্যাত জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতামত, দাম না বাড়িয়ে বরং দক্ষ ব্যবস্থাপনার ও সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। রেন্টাল, কুইক রেন্টাল এখনও বন্ধ করা হয়নি। বিদ্যুৎ খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল করা হয়নি। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার বোঝা জনগণের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তারা বলেন, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, অথচ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কষাঘাতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়াবে। তারাও দাম বাড়িয়ে জনগণের কাঁধে ওই উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপাবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

মাছ চাষের নামে বাঁধ, পানির তলে শত বিঘা আমন ধান

ঘরে বসেই ঘন ও স্বাস্থ্যবান চুল পেতে মেনে চলুন এই ৭ টিপস

সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা 

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা, আ.লীগ নেতা মানিক গ্রেপ্তার

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-আতিক, রিমান্ডে কিরণ

কক্সবাজারে মাহিন গ্রুপের ২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ভক্তদের চমকে দিলেন হানিয়া আমির

১০

রক্তের দাগ অনুসরণ করে মিলল অটোচালকের মরদেহ

১১

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ গতিশীল হোক

১২

ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের

১৩

জুলাই হত্যাযজ্ঞ / পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

১৪

বিল বেশি আসায় লাইনম্যানকে ‘মারধর’, মিটার খুলে নিল বিদ্যুৎ অফিস

১৫

নেদারল্যান্ডস সিরিজ খেলবেন না মিরাজ

১৬

ভয়াবহ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ অনুমোদন, গাজার পথে ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা

১৭

রাতের আঁধারে সরকারি ৩০০ বস্তা সার আটক

১৮

'ওয়ার ২'-এর সাফল্যের মাঝে প্রিয়জন হারালেন জুনিয়র এনটিআর

১৯

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ‘পেছনে’ ফেলে ইতিহাস সালাহ’র

২০
X