বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আজকের (বুধবার) সমাবেশে রাজধানী ও রাজধানীর বাইরে থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন ইউনিট ও শাখার নেতাকর্মীরা নিজেদের ও নেতাদের নামে ব্যানার বানিয়েছেন। সমাবেশ শুরুর পর ব্যানারে আড়াল হয়ে যায় মঞ্চ। নেতারা বারবার বললেও ব্যানার সরানো হয়নি। ফলে ক্ষুব্ধ নেতারা বহিষ্কারেরও হুমকি দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনের আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ব্যানারে নিজেদের জানান দেওয়ার চেষ্টা করছেন নেতারা। কেউ কেউ মনোনয়ন চেয়ে ব্যানার করেছেন, কেউ কেউ করেছেন থানা বা ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার দাবি করেন। এসব ব্যানারে সমাবেশের মঞ্চ ঢেকে যায়।
সমাবেশ শুরুর পর থেকেই নেতারা বারবার এসব ব্যানার নামিয়ে ফেলতে বলেন। কিন্তু কেউ কথা শোনে না। পরে নেতারাও হতাশ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ব্যানার সরাতে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকিও দেন।
মঞ্চে উঠে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আপনারা ব্যানারগুলো নামান, আজকের এই সমাবেশ বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে নগর ভবন পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের নেতারা সামনে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। আপনারা ব্যনারগুলো নামিয়ে ফেলুন। দয়া করে ব্যনারগুলো নামিয়ে ফেলুন। আমার সামনে আমার ছবি দিয়ে যারা ব্যানার করেছেন, তারা শিগগিরই নামান।’
ফজলে নূর তাপসের পর ব্যানার নিয়ে কথা বলেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আপনারা মঞ্চকে ব্যানার দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন, আপনারা ব্যানার নামিয়ে ফেলুন।’
বারবার বলার পরও ব্যানার না নামানোয় ক্ষুব্ধ হন সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। মাইকের সামনে গিয়ে বলেন, ‘এতবার নেতারা বলছেন, তারপরও ব্যানার নামাচ্ছেন না, আপনাদের খবর আছে।’ তিনি বলেন, ‘যারা ব্যানার নামাচ্ছেন না, তাদের খবর আছে, তালিকা করে বহিষ্কার করব, রাজনীতি শিখিয়ে দেব। ব্যানার নামান।’
এতবার বলার পরও ব্যানার না নামানোয় হতাশ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘আজকে আমাদের শান্তি সমাবেশ, ব্যানারগুলো গুটিয়ে ফেলুন, ব্যানার গুটান। কেউ কথা শোনে না...সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন বহিষ্কার করবে, তবু কেউ কথা শোনে না।’
মন্তব্য করুন