বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তবে জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীকে পরাজয় বরণ করতেই হবে। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনের মূলোৎপাটন ঘটাতে জনগণ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে দলের সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য লতিফুল্লাহ জাফরু, বংশাল থানাধীন ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মো. মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা প্রদান এবং জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালানোর উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধী দলগুলো যেন দখলদার আওয়ামী সরকারের স্বেচ্ছাচারী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস না পায়। মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকার এখন তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে। উপরোল্লিখিত নেতাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণ সেই কর্মসূচিরই নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
তিনি হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ উল্লিখিত নেতাদের সাজা বাতিল, মামলা প্রত্যাহার ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন