ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চরমভাবে বর্থে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ছেলে খেলায় মেতে উঠেছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কতৃর্ত্ববাদী শাসন চালাচ্ছে। এখন আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দল এবং ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর দমন-পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে সরকার।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন,
বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাচনকে সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের বাইরে বিত্তবানদের খেলায় পরিণত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে সাধারণ রাজনীতিকদের অংশগ্রহণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানতের অংক লাখ টাকায় উন্নীত করা, নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ব্যবহারসহ নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন বিধিতে পরিবর্তন এনেছে। উপজেলা নির্বাচন এমন এক অরাজনৈতিক রূপ নিয়েছে, সেখানে কেবল টাকা, পরিবারতন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করার বিষয়ই প্রধান হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখানে রাজনীতি, জনগণ ও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ এসব বিষয় আর প্রধান নয়। সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের যে উৎসাহটুকু ছিল, এই উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটাও যাবে।
দলের মজলিসে আমেলার সভায় বলা হয়, সরকার মধুখালির ঘটনার মূল হোতাদের পালানোর সুযোগ দিয়ে এখন লোক দেখানো আসামিদের ধরিয়ে দিন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সভায় বলা হয়, গণপিটুনিতে দুই সহোদরকে হত্যা পরিকল্পিত। কাজেই অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি হেমায়েতুলস্নাহ কাসেমী, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা মকবুল হোসাইন, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা নূরুল ইসলাম আলআমিন, জিএম রুহুল আমিন, এম হাছিবুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার, সেলিম মাহমুদ, আল-মোহাম্মদ ইকবাল।
মন্তব্য করুন