আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লিবিয়ায় বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতন করা হচ্ছে। ছবি : ভিডিও থেকে
হাত-পা বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতন করা হচ্ছে। ছবি : ভিডিও থেকে

লিবিয়ায় রুবেল হোসেন নামে বাংলাদেশি এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তার পরিবারের কাছে মুক্তি পণের দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, হাত-পা একসঙ্গে বেঁধে ও মুখে কাপড় গুজে রুবেলকে লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করছে এক ব্যক্তি। নির্যাতনের এ ভিডিও চিত্র বাংলাদেশে রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের মুঠোফোনে পাঠানো হয়। চার দিন আগে ওই ভিডিও পাঠিয়ে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য আক্তারুনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

ভিডিতে নির্যাতনের শিকার রুবেলের চেহারা স্পষ্ট দেখা গেলেও নির্যাতনকারী ব্যক্তির চেহারা দেখা যাচ্ছিল না।

রুবেল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আমেশ্বপুর নিশিপাড়া গ্রামে। রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তেমারিয়া গ্রামে। রুবেলকে লিবিয়ায় পাঠানো দালাল মিজানুর রহমান ওরফে ধলুর বাড়িও তেমারিয়া গ্রামে।

আক্তারুন তার ভগ্নিপতি রুবেলকে গ্রামের দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর রুবেল নিজেই দালাল মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রুবেল তার জমি-জমা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দালাল মিজানুর রহমানের স্বজনদের হাতে দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুবেল লিবিয়ায় পাড়ি জমান।

রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুন বলেন, আমি আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেল হোসনকে দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলাম। গত জানুয়ারি মাসে মিজানুর আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, মিজান রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। রুবেলকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দশ দিন আগে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তারা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছেন। অচেনা কণ্ঠের একজন বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে আমাকে কল করে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য দশ লাখ টাকা চেয়েছেন। এছাড়া রুবেলকে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তারা গত ২৭ মার্চ আমার মুঠোফোনের হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে মিজানুরদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বাড়ির মূল ফটকে তালা ঝুলছিল।

তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফজিলাতুন নেছা বলেন, কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছেন। এই ভয়ে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না। মিজানুর অনেক মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। এখন শুনছি মিজানুর লিবিয়ায় লোকজন আটকে মুক্তিপণ চাচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই যুবককে গুলি করে পালিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক এমপি বাদল রিমান্ডে 

কেয়া হত্যা মামলা তুলতে হুমকি, তিনজনের বিরুদ্ধে আরেক মামলা

৪০০ ব্যালটে স্বাক্ষর না থাকার অভিযোগ

স্পাউস ভিসার খপ্পরে অসংখ্য নারী, ভয়াবহ প্রতারণা 

চাকসুর ভোটগ্রহণ শেষ

মরুভূমিতে বালু ও পাথরচাপা অবস্থায় মিলল প্রবাসীর মরদেহ

রাকসু নির্বাচন : নিরাপত্তার চাদরে রাবি ক্যাম্পাস

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা মারা গেছেন

গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সংকট সৃষ্টি ‘কালো ঘোড়ার অনুপ্রবেশ’ ঘটাবে : রিজভী

১০

বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই : আইনুল হক

১১

ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা 

১২

বরিশালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৩৫, আক্রান্ত সাড়ে ১৫ হাজার

১৩

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালা

১৪

মিরপুরের সেই গুদাম থেকে বের হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস, দূরে থাকার পরামর্শ

১৫

বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ভোট দিলেন মা

১৬

এবার ধানমন্ডিতে আগুন

১৭

কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ৯ জন

১৮

জামায়াত আমিরের সঙ্গে নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৯

অভিনেতা পঙ্কজ ধীর আর নেই

২০
X