রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৯তম জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে ‘শ্রীমা সারদাদেবী ও আধুনিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, শ্রীমা সারদাদেবী নবজীবন যোজনা করেছিলেন, তিনি মহৎ ছিলেন একই সঙ্গে প্রতিবাদ করতে জানতেন- এবিষয়গুলোই ছিল সারদাদেবীর আধুনিকতা। তিনি আত্মতৃপ্তির কথা বলতে গিয়ে আত্মত্যাগের কথা বলে গেছেন যদিও আত্মত্যাগ সামাজীকরনের বিষয়। আত্মত্যাগের মাধ্যমে নারীকে শিকল পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যেকারণে এ বিষয়টা নারী পুরুষ সবার মধ্যেই থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সারদাদেবী নারী শিক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ইংরেজি ভাষার প্রতিও গুরুত্বারোপ করে গেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবসময় বাংলাকে আত্মস্থ করতে বলেন এবং একই সঙ্গে ইংরেজি ভাষাও শেখার কথা বলেন।
তিনি বলেন, হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান এগুলো নিয়ে আমরা সারাদিন ভেদাভেদ করি যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে সকলের সমতা ও ন্যায্যতার কথা বলা আছে। আমরা যেন রাষ্ট্রকে ধর্মের আকার দিয়ে না দেখি আর কাঠামোগুলো ধর্মীয় অনুশাসন দিয়ে প্রভাবিত না করি।
রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী পূর্ণাত্মানন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতীয় দূতাবাস, ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোমা দে।
আলোচনা শেষে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী পদ্মশ্রী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
মন্তব্য করুন