রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন ঢাকায় আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের ১৮৯তম জন্মতিথি ও বার্ষিক উৎসব শুরু হচ্ছে। আগামী শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান সমন্বয়ে বর্ণিল এই বার্ষিক উৎসব চলবে। আজ প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয় ভোর ৫টায় মঙ্গলারতি দিয়ে- এরপর বিশেষ পূজা, হোম, ভজন সংগীত, ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও ঊষাকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’ শীর্ষক ভাষণ, পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সমাপ্তি হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীরামকৃষ্ণ লালাগীতি, শিশুদের নৃত্য, সংগীতানুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা-রাত্রিকের পর ৭টায় শুরু হয় আলোচনা সভা। ‘ধর্ম জগতে শ্রীরামকৃষ্ণের অনন্যতা’বিষয়ক ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন, বিশেষ অতিথি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. তৌহিদুল হাসান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি সুবল চন্দ্র সাহা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল বুধবার (১৩ মার্চ) রামায়ন গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে দুই পর্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে আলোচনার বিষয় বস্ত নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা দর্শণ’। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। আশীর্বচন প্রদান করবেন স্বামী পুর্ণাত্মানন্দ, অধ্যক্ষ ও সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা এবং বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ সঙ্গের দীক্ষাগুরু মহারাজ। সভাপতিত্ব করবেন বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, সভাপতি, রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা পর্ষদ, ঢাকা। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রবীর কুমার সাহা, এম ডি, ড্রিম হলিডেপার্ক, নরসিংদী ও সদস্য রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা পর্ষদ ঢাকা।
দ্বিতীয় পর্বে ‘স্বামী বিবেকানন্দ ও আন্তজার্তিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ও শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক দেবদাস হালদার ও স্বামী অপ্রমেয়ানন্দ, সহসম্পাদক, রামকৃষ্ণ মিশন হোম অব সার্ভিস, বারনসী, ভারত। রাত ৮টায় থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও শুভাশীষ দত্ত তন্ময়-এর পরিচালনায় নাটক।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অনুষ্ঠানমালার মধ্যে আছে পদাবলি কীর্ত্তন, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় গীতি আলেখ্য, নৃত্যানুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। সন্ধ্যা-রাত্রিকের পর ৭টায় ‘শ্রী মা সারাদাদেবী ও আধুনিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম, উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সভাপতিত্ব করবেন স্বামী পুর্ণাত্মনন্দ মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৃন্ময় চক্রবর্তী, পরিচালক, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ঢাকা, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ড. সোমা দে, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাত ৮টায় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী পদ্মশ্রী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পরিবেশনায় থাকবে সংগীতানুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের সমাপনী দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মলীলা কীর্ত্তন, দুপুর ১২টায় নরনারয়ন সেবা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দ্বিতীয় পর্বে শিশু কিশোরদের বিচিত্রানুষ্ঠান এবং সংগীতানুষ্ঠানে বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, স্বামী পুণ্যদানন্দ, শ্রী বিজন মিস্ত্রী, দীপংকর মণ্ডল এবং কলকাতা থেকে আগত অন্যান্য কণ্ঠশিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।
মন্তব্য করুন