বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সংবিধান সংশোধন নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহর প্রস্তাবনা

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত
জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ। দেশের বাইরে অবস্থান করায় এতে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে শায়খ আহমাদুল্লাহর পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবনাসহ প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়ে নিজের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবানার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

পোস্টে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধারণকারী একটি সংবিধান আমাদের প্রত্যাশা। যেখানে আমাদের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রতিফলিত হবে।

তিনি লেখেন, ইতোমধ্যে সংবিধান সংশোধন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিতব্য এক আলোচনা সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছি। দেশের বাইরে অবস্থান করায় উক্ত সভায় উপস্থিত হতে না পারলেও লিখিত প্রস্তাবনাসহ আমার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন ইনশাআল্লাহ। আশা করি, জাতীয় জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন। কমিশনের সদস্যরা ইতোমধ্যে অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেওয়া শুরু করেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

পোস্টের প্রথম কমেন্টে তিনি লিখেছেন, সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় তারা বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।

১. সংবিধানে এ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধবোধ প্রতিফলিত হতে হবে। সংবিধানে এ রকম কোনো ধারা-উপধারা সংযোজন করা যাবে না এবং থাকলে অপসারণ করতে হবে, যা এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি।

২. সংবিধানের শুরুতে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হবে প্রজাতন্ত্রের সকল কাজের ভিত্তি’ এই বাক্য পুনঃসংযোজন করতে হবে, যা বিগত সরকার সংবিধান থেকে অপসারণ করেছে।

৩. সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের বিলোপ করতে হবে। কারণ এটি এ দেশের মানুষের চিরায়তের মূল্যবোধের বিরোধী।

৪. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিষয়টি সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট মহল সুবিবেচনার পরিচয় দেবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

১০

‘বিষাক্ত মদ’ পানে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যের স্বামীর মৃত্যু

১১

বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি নিয়ে নতুন তথ্য

১২

ঢাকা উত্তর সিটিতে জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে

১৩

শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে খালেদা জিয়া

১৪

জাতীয় পর্যায়ে রানার্স আপ নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা

১৫

দুই বছর আগের মামলায় নতুন করে ‘আসামি’ সাংবাদিক

১৬

বদলির আদেশের ৩ সপ্তাহ পরও অফিস করছেন রাসিক সচিব

১৭

অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ মারা গেছেন

১৮

চার দিন ধরে নিখোঁজ বিকাশ কর্মী ওমর ফারুক

১৯

ওসির বিরুদ্ধে দুর্বল ধারার অভিযোগ, আ.লীগ নেতার ৩ সন্তানের জামিন

২০
X