স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধভাবে নির্বাচিত হয়েই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করুন।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দেন, বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে বৈধভাবে নির্বাচিত হয়েই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করুন।
তিনি আরও লেখেন, অবৈধ নির্বাচনের পর আদালত আর নিবাচন কমিশনকে জিম্মি করে অবৈধ রায়ের মাধ্যমে মেয়র হওয়ার শখ ক্যান!!!
এদিকে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা চার দিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর সোমবার (১৯ মে) নগরভবন ব্লকেডের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। মূল ফটক আটকে নতুন এ কর্মসূচি পালনের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এদিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এসে জড়ো হোন বিক্ষোভকারীরা। তাদের ব্লকেডে আটকে গেছে নগরভবন এবং সেখানকার সব সেবা কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আছে বিগত কয়েকদিন ধরে। নগরভনের মূল ফটকসহ অন্য সব বিভাগের গেটে তালা লাগিয়ে রেখেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ইশরাকপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে আজও কোন সেবা পাওয়া যাচ্ছে না নগরভবনে। সেবাগ্রহীতাদের সেবা নিতে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে।
নগরভবনের সামনে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ইশরাকের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যতদিন ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করানো না হবে, ততদিন আমরা একইভাবে নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য করুন