নিজের সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি বিষয়ে অনুসন্ধানে দুদককে অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘অভিযোগ ও গুঞ্জন উঠলে আমি নিজেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-কে বিষয়টি অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। আমার সাবেক এপিএস সংক্রান্ত অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করতেও নির্দেশ দিয়েছি।’
নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যে-ই হোক, রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অঙ্গীকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব আমাদের নতুন বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ।’
‘শুরু থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর পারসেপশন তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমার কাছে সত্য ও নৈতিক সাহসই মুখ্য। সেই কারণে নিজেই অনুসন্ধানের অনুরোধ করেছি।’
কঠিন দৃষ্টান্ত দেখতে চান জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আশা করি, দুদক নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করবে এবং সত্য উদঘাটিত হবে। আমরা সততা, দায়বদ্ধতা এবং সুশাসনের এমন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই যা অনুকরণীয় হবে।’
এদিকে এর আগে সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশ গমন রহিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। তার এনআইডি ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। শনিবার (২৪ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমির নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল মোয়াজ্জেম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উপদেষ্টার এপিএস হিসেবে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির ও টেন্ডার বাণিজ্যের মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন’।
জিজ্ঞাসাবাদ পর সাংবাদিকদের কাছে মোয়াজ্জেম দাবি করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ ছাত্রদের টার্গেট করে মিথ্যা ছড়াচ্ছে।'
মন্তব্য করুন