সম্প্রতি এমন একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশনে উল্লেখ করে লেখা হয়, ‘উপদেষ্টা আসিফের বাড়িতে মিলল ১২০০ বস্তা চাল। পোস্টদাতা এ-ও দাবি করে বলেন যে এ সময় তার বাবাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পুলিশদের ঘুষ দিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে এ বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি বিষয়টিকে গুজব হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন সাইবার সেল থেকে এই গুজব ছড়ানো হয়েছে এবং কোনো প্রকার যাচাই ছাড়াই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তা প্রচার করেছেন।
আসিফ মাহমুদ পোস্টে লেখেন, ‘প্রথমে চাঁদপুরের একটি ঘটনাকে আমার বাড়ির ঘটনা বলে গুজব ছড়ানো হয় নিষিদ্ধ সংগঠনের বিভিন্ন সাইবার সেল থেকে। কোন প্রকার যাচাই ছাড়াই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নিষিদ্ধ সংগঠনের ছড়ানো গুজব সার্কুলেট করলেন।’
‘এর প্রেক্ষিতে নগর ভবন অবরোধ কারী জনৈক নেতার কর্মীরা আমার বাবাকে চালচোর, গমচোর বলে শ্লোগান দিচ্ছে। আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ের বন্ধুরাও শুধুমাত্র প্রতিহিংসা বশত নিষিদ্ধ সংগঠনের ছড়ানো গুজব দিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের মানহানি করছেন।’
‘অথচ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা গঠনমূলক রাজনীতি প্রত্যাশা করেছিলাম। দুঃখজনক ভাবে তরুণ নেতৃত্ব ও গঠনমূলক রাজনীতির পরিবর্তে প্রতিহিংসা এবং ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি বেছে নিচ্ছে। উক্ত ঘটনাটি চাঁদপুরের শাহরাস্তির।’
এদিকে এ বিষয়ে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাড়িতে ১২০০ বস্তা চাল পাওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের ঘর থেকে চাল উদ্ধার করার ভিডিওকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিওটির বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওর কয়েকটি কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মো. জামাল হোসেনের ফেসবুক আইডিতে গত ২ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, আলোচিত ভিডিওর দাবির জব্দের সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কিংবা তার বাবার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ছাড়া ১২০০ বস্তা নয়, আলোচিত ভিডিওর ঘটনায় ১৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন