কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মদের গ্লাস ও নারীর সঙ্গে ছবির ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষক আসিফ

আসিফ মাহতাব। ছবি : সংগৃহীত
আসিফ মাহতাব। ছবি : সংগৃহীত

প্রতি বছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন সারা দেশে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়েছে সরকার। তবে নতুন পাঠ্যবই মানেই যেন ভুল আর বির্তক— বিষয়টি যেন চিরায়িত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার মাধ্যমিক স্তরে নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিকবিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে একটি অধ্যায়কে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব এক অনুষ্ঠানে চলতি সিলেবাসে সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদে তিনি এ পাঠ্যবই থেকে ‘শরিফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেন।

এ ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে নিয়ে শুরু হয় তুমুল তর্ক-বিতর্ক। অনেকেই তার পক্ষ নিয়েছেন, আবার অনেকেই তার বিরোধিতাও করেছেন। এখানেই সমালোচনাকারীরা থেমে থাকেনি; আসিফ মাহতাবের ব্যক্তিজীবন নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ট্রল। সেখানে তার অতীতের কিছু ছবিও পোস্ট করা হয়েছে।

একটি ছবিতে দেখা যায়, আসিফ মাহতাব হাতে মদের গ্লাস নিয়ে দুজন নারীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন। এই ছবিটিই যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেন, ‘আমার হাতে যে গ্লাসগুলো নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা আসলে আপেল জুস। আপনি যদি ইউনিভার্সিটির ছবি চেক করেন, দেখবেন ওটা আমার স্কলারশিপ পাওয়ার অনুষ্ঠান। ওখানে ওয়াইনের গ্লাসে জুস দিয়েছে। আমি জীবনে অ্যালকোহল টাচ করে দেখিনি।’

সম্প্রতি এক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে তিনি ওই ছবির বিষয়ে এসব কথা জানান।

মেয়েদের সাথে ছবি তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া পছন্দ করি না। ছবি তোলার সময়ও দূরত্ব বজায় রাখি। আর ছবির মেয়েগুলোর মধ্যে একজন আমার বোন, আরেকজন আমার খালা।’

জানা গেছে, ২০১৩ সালের নভেম্বরে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি হিজড়াদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

মূলত সপ্তম শ্রেণির এই পাঠ্যবইয়ে হিজড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিবন্ধকতা থাকলে সমাজে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আলোচনা করা হয়েছে। যদিও সেখানে তাদের বেড়ে ওঠা, সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত, শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ না থাকা ইত্যাদি উঠে এসেছে এ অধ্যায়ে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

১০

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১১

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১২

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১৩

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৪

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৫

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৬

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৭

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৮

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৯

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

২০
X