১০ বছর পর নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ১০ দলের এই টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা ঢাকা ও সিলেটে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটাঙ্গনেও।
নিরাপত্তা ইস্যু তৈরি হওয়াতে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য আইসিসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইতোমধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে চিঠিও দিয়েছে বিসিবি। বোর্ডের পরিচালক ও আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারলে বাংলাদেশ থেকে সরে যেতে পারে টুর্নামেন্ট।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বোর্ডের বিভিন্ন পরিচালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে যারা আছেন তাদেরই সবকিছু সামলে নিতে হচ্ছে। চিঠি দেওয়ার ব্যাপারে ইফতেখার আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ‘এটা তো (নিরাপত্তা নিশ্চিত করা) সরকারের ব্যাপার। সিদ্ধান্ত না নিলে বিশ্বকাপটা চলে যাবে।’
তিনি জানিয়েছেন, আইসিসির পক্ষ থেকে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেটাসহ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে বোর্ড। অবশ্য চিঠি দেওয়ার সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়নি। সে কারণে কিছুটা ভয়েও ছিল বিসিবি। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব বলে মনে করেন ইফতেখার আহমেদ।
অনেক কষ্টে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের স্বত্ব পেতে হয়। বাংলাদেশ সেটা পাওয়ার পরও যদি ধরে রাখতে না পারে, তাহলে সেটা হতাশার হবে বলে মনে করেন অনেকে। সেজন্যই যতদ্রুত সম্ভব আইসিসিকে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করতে চায় বিসিবি।
আগামী ৩-২০ অক্টোবর পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ১৮ দিনের এই টুর্নামেন্টের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে দুটি ভেন্যু। তবে ১০ আগস্টের মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।