ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব্যাটারদের দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ

ডেভিড হেম্প। ছবি : সংগৃহীত
ডেভিড হেম্প। ছবি : সংগৃহীত

প্রথম ইনিংসে দল হিসেবে ব্যাটিং বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ১১ জনের প্রচেষ্টার ফলে স্কোর বোর্ডে যোগ হয় মাত্র ১৪৯ রান। এতে করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত লিড নেয় পাহাড়সম। বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রোহিত শর্মারা। এবার ভালো শুরু পেলেও দিন শেষে ৪ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ১৫৮ রান তোলে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রতিপক্ষের চেয়ে এখনো ৩৫৭ রানে পিছিয়ে তারা; হাতে আছে ৬ উইকেট। এমন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে কি বা চাইতে পারে বাংলাদেশ! ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প অবশ্য ব্যাটারদের দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ জানিয়েছেন। তার মতে, থিতু হওয়ার পর ইনিংসগুলো আরেকটু লম্বা করতে পারতেন জাকির হাসান, সাদমান ইসলামরা।

তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের এক ঘণ্টা বাকি রেখেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল ভারত। বাংলাদেশের জন্য আগের ইনিংসের ভুল থেকে শেখাটা জরুরি ছিল। শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির ও সাদমান। তাতে মনে হচ্ছিল, ভিন্ন কিছু করে দেখাতে যাচ্ছেন তারা। বড় কোনো জুটিও আসবে। প্রথম ঘণ্টা সামাল দিয়ে চা বিরতিতে যান তারা।

কিন্তু ফেরার পর প্রথম ভুলটা করে বসেন জাকির। জাসপ্রিত বুমরাহর লাফিয়ে ওঠা বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে। ডাইভ দিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৪৭ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেরেন জাকির। আরেক ওপেনার সাদমানও থিতু হয়ে ফেরেন ভুল শটস খেলে। রবীচন্দ্রন অশ্বিনের নিচু হয়ে আসা বলটি মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দেন তিনি। শুভমান গিলের তালুবন্দি করতে ভুল হয়নি। ৬৮ বল খেলে তিনিও ফেরেন ৩৫ রান করে।

জাকির কিংবা সাদমান দুজনের ফেরার সময়টা বড্ড চাপেই ফেলে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংকে। অথচ এমন ইনিংসগুলোতে শতকে রূপান্তর করতে দেখা গেছে অশ্বিন, গিল কিংবা ঋষভ পন্তরা। বাংলাদেশের ব্যাটারদের এমন ভুল নিয়ে নাকি কথা বলেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

হেম্প বলেছেন, ‘কেউ যদি ৪০-৫০ কিংবা ৬০ বল খেলে ফেলে, তাহলে তার উচিত ১২০ বল অন্তত খেলা। তার অবদানটাকে অর্থবহ করে তোলা।’

বিষয়টি খেলোয়াড়দের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। আমাদের অবশ্যই শুরুটা ভালো করতে হবে। আর একবার শুরুটা পেয়ে গেলে, ২০-৩০টা বল (ডেলিভারি) কেউ খেলে ফেললে, তার একটা ধারণা হয়ে যায় কি হচ্ছে মাঠে। কেউ ৩০-৪০ রান করলে তার ইনিংসটা বড় করা উচিত। কঠিন কাজটা করে ফেলার পর এখন সুযোগটা কাজে লাগানোর তার দরকার।’

পাকিস্তানের মাটিতে খেলা দুই ম্যাচের সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন ব্যাটাররা। চার ইনিংসেই ধারাবাহিকতা ছিল তাদের। দলও জিতেছে দাপুটের সঙ্গেই। সে প্রসঙ্গটা সামনে এনে বাংলাদেশের এই কোচ বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে খণ্ড খণ্ডভাবে এই জিনিসটা দেখা গেছে। এ ব্যাপারটি নিয়ে আমরা কাজ করছি, এটা নিয়ে আমাদের নজরে আছে। তবে আমার কাছে এ মুহূর্তে লক্ষ্য হচ্ছে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচটা ঠিক করা। এটা আমাদের খুব একটা ভালো হচ্ছে না।’

ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ যে ঠিকঠাক হচ্ছে না তার আকেরটা প্রমাণ হতে পারে ব্যাটারদের অনিয়ন্ত্রিত শটস খেলা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে বিজেআইএমের সিম্পোজিয়াম

‘ইঞ্জিনিয়ার তুহিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’

পুরানা পল্টনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা পেছাল

মানারাতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যারিয়ারবিষয়ক কর্মশালা 

ঝুঁকি নিয়েই চলছে চার বিদ্যালয়ের পাঠদান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির গণপদযাত্রা কাল

সংস্কারের নামে সময় নষ্ট করবেন না: অ্যাডভোকেট সালাম

খুবি শিক্ষার্থী নোমানের সনদ বাতিল

খুন হয়েছেন সাগর-রুনি, হত্যায় অংশ নেন ২ জন

১০

ভারতে গেলেন সন্তু লারমা

১১

বিরল সাপের কামড়ে নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু

১২

রহস্যের জট খোলেনি সিরাজগঞ্জের সেই ভয়ংকর গুপ্তঘরের

১৩

ছাত্রদল নেতার হাতে জিম্মি মহাসড়ক

১৪

ছবি পাল্টে বড় ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তোলেন ছোট ভাই

১৫

ফুল-ফসলের বিষে কমছে ফুলটুনি

১৬

গোবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৭

মাওলানা রইস হত্যা / খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১৮

নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে হওয়া উচিত : জামায়াত আমির

১৯

সাইকেল চোরকে তিন মাসের কারাদণ্ড ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালতের 

২০
X