আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ চোটে পড়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসার এবাদত হোসেন। সেই চোট কাটিয়ে এশিয়া কাপ খেলার সম্ভাবনা থাকলেও এখনো পুরোপুরি সেরে উঠতে পারেননি এই পেসার। তাই আসন্ন এশিয়া কাপে তাকে আর পাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
এই পেসারের পরিবর্তে মূল স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন উদীয়মান পেসার তানজিম হাসান সাকিব। জাতীয় দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেলেন তরুণ এই পেসার। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে চোটে পড়েন এবাদত। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বোলিংয়ের সময় বাঁ পায়ে চোট পান তিনি। যে কারণে আফগানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রাখা হয়নি তাকে ।
ধারণা করা হয়েছিল, এশিয়া কাপে পাওয়া যাবে তাকে। তাই আসন্ন এই আসরের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। তবে পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় এই পেসারকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ টিম ম্যানেজমেন্ট।
এবাদতের শূন্য জায়গা পূরণ করার জন্য অবশ্য একাধিক বিকল্প ছিল বিসিবির হাতে। সেই তালিকায় ছিলেন তানজিম সাকিব, খালেদ আহমেদের মতো পেসাররা। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিবেচনায় খালেদের তুলনায় ঢের এগিয়ে ছিলেন সাকিব। তা ছাড়া এই তরুণ পেসারকে বিকল্প হিসেবে আগে থেকেই এশিয়া কাপের অতিরিক্ত ৩ সদস্যের স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল।
শেষমেশ এবাদতের চোটে যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটারের ভাগ্য সহায় হলো। সদ্য সমাপ্ত ইমার্জিং এশিয়া কাপে সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কারই বলা চলে এটি। শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আসরে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মোট ৩ ম্যাচ খেলে শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট। যেখানে ওমানের বিপক্ষে ১৮ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এখনো পর্যন্ত লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ৩৭টি। যেখানে প্রায় ২৯ গড়ে শিকার করেছেন ৫৭ উইকেট। এই সময়ে তিনি বোলিং করেছেন ৫.৪৪ ইকোনমিতে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসের সঙ্গে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতেও কার্যকর সাকিব। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩৭ ম্যাচে প্রায় ১২ গড়ে করেছেন ১৫৩ রান।
মন্তব্য করুন