মিরপুর টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরান আফগান বোলাররা। মাত্র ২০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। এরপর আফগানদের দাপট দেখাচ্ছে টাইগার পেসাররা।
বিশেষ করে এবাদত হোসেনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে চা বিরতির আগে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান। এতে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে সফরকারীরা। চা বিরতিতে আফগানদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৪৪ রান। এরই মধ্যে সফরকারীদের চার ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন এবাদত। আর শরিফুলের শিকার দুই উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে উইকেট হারায় আফগানরা। ব্যক্তিগত ৬ রানে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন ইব্রাহিম জাদরান। এরপর দলীয় ২৪ রানে আবদুল মালিককে (১৭) ফেরান এবাদত হোসেন। এরপর রহমাত শাহকে (৯) ফিরিয়ে আফগান শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেনি এবাদত।
হাশমতউল্লাহ শহীদি শরিফুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হলে ৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন নাসির জামাল ও আফসার জাজাই জুটি। নাসিরকে (৩৫) ফিরিয়ে আফসারের ৭৩ বলে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে এবাদতকে উড়িয়ে মারতে দিয়ে আউট হন আফসারও (৩৬)। আমির হামজাকে (৬) সাজঘরে ফেরান ডানহাতি এই পেসার। তাইজুল ইসলাম ফেরান ইয়ামিন আহমেদজাইকে (০)।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি আর মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফসেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মড়ক লাগে স্বাগতিকদের ইনিংসে। ৫ উইকেটে ৩৬২ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা লিটন দাসের দল যোগ করে ২০ রান।
মাত্র ৪৫ মিনিটে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৩৮২ রানে। দিনের শুরুতে আউট হন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৪৮ রানে আউট হলেন তিনি। এরপর মাত্র ৪ বলের ব্যবধানে আউট হন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও। ৪৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মুশফিকের পর সাজঘরের পথ ধরেন তাইজুল ইসলাম (০)।
ইয়ামিনের বলে তাসকিন আহমেদ এলবিডব্লিউ হলে মাত্র ১৫ বলের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে অলআউট করেন নিশাত মাসুদ। আফগানদের পক্ষে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।
মন্তব্য করুন