শারজাহর গরম বাতাসে যেন আগুন ঝরালেন পারভেজ হোসেন ইমন। আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়—আর নিজে ঢুকে পড়লেন ইতিহাসের পাতায়। মাত্র ৫৪ বলে শতক তুলে নিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানে পরিণত হলেন ইমন।
১৯১ রানের বিশাল স্কোরে ভর করে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২৭ রানে। আর নতুন অধিনায়ক লিটন দাস পেলেন নেতৃত্বের মিষ্টি শুরু। কিন্তু ম্যাচজয়ী নায়ক—একজনই, ইমন!
ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার হাতে ইমন বলেন, ‘এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। অবশ্যই এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু। উইকেটটা ভালো ছিল, আমি চেষ্টা করেছি নিজের প্রক্রিয়া মেনে খেলতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করেছি, সেটাই কাজে লেগেছে।’
সত্যিই, তার ব্যাটিং দেখে তা-ই মনে হয়েছে। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক, কিন্তু হিসেবি। ইনিংসের ছন্দ একবারও হারাননি। পুরো ইনিংসে ঝলক দেখিয়েছেন স্ট্রোকপ্লের, কিন্তু সব কিছুই ছিল নিয়ন্ত্রিত। এমন ইনিংসই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এই ম্যাচ দিয়েই শারজাহতে প্রথমবারের মতো জয় পেল বাংলাদেশ। শুধু জয় নয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও গড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশের ১৯১ রানের জবাবে আরব আমিরাত থেমেছে ১৬৪ রানে। স্বাগতিক দলের হয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে কিছুটা আশা জাগান তিনি।
ম্যাচ শেষে ওয়াসিম বলেন, ‘আমরা ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু মাঝখানে কয়েকটা উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলি। ১৫০–১৬০ রানে বাংলাদেশকে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ওরা ২০–২৫ রান বেশি করে ফেলেছে। আমরা শারজাহর কন্ডিশন জানি, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
দুই ম্যাচের এই সংক্ষিপ্ত সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। লিটনের নেতৃত্বে এক ঝলক তরতাজা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দেখালো দল। আর পারভেজ ইমন জানিয়ে দিলেন—বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যতের ব্যাটিং স্তম্ভ হতে যাচ্ছেন তিনিই।
পরবর্তী ম্যাচে কি আমিরাত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? নাকি ইমনের ব্যাট আবারও গর্জে উঠবে? উত্তর দেবে মাঠ।
মন্তব্য করুন