গল টেস্টের প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেও একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন মুশফিকুর রহিম। এবার সঙ্গে ছিলেন লিটন দাস। এই দুজনের ৭৪ রানের অপরাজিত জুটিতে লাঞ্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮৩ রান, উইকেট হাতে এখনো ৬টি।
দিনের শুরুটা যদিও একটু ধাক্কা দিয়ে হয়। ব্যক্তিগত ১৪৮ রানে থেমে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ধৈর্য আর ধীর্ঘস্থায়ী ইনিংস খেলার পর এক অফ-স্পিড বলে মিড-অফে এই ম্যাচ দিয়ে অবসর নেওয়া ম্যাথুসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তবে এরপর উইকেটে এসে সাবলীল ব্যাটিংয়ে রান বাড়ানোর কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন লিটন দাস।
মুশফিক শুরু থেকেই ছিলেন অনবদ্য। প্রথম দিনে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর আজ সকালে এগিয়ে যাচ্ছেন দ্বিশতকের পথে। লাঞ্চের সময় তিনি অপরাজিত ১৪১ রানে। তার ২৭২ বলের ইনিংসে রয়েছে ৭টি চারের মার। অন্যদিকে লিটন খেলছেন ৪৩ রানে, খেলেছেন ৫৭ বল, হাঁকিয়েছেন চারটি চার এবং একটি ছয়।
এই জুটির শুরুটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। মাত্র ৮ রানে লিটনের রানআউট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল একটি ভুল বোঝাবুঝিতে, কিন্তু থ্রো যাওয়া উচিত ছিল উইকেটকিপারের প্রান্তে, সেটি যায় উল্টো প্রান্তে। এরপর আবার ১৪ রানে থাকতে থারিন্দুর বলে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ ফেলেন পাথুম নিসাঙ্কা। সেই ওভারেই পরপর তিনটি বাউন্ডারি মেরে চাপ কমিয়ে নেন লিটন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন থারিন্দু রত্নায়েকে। ৩৯.২ ওভারে ১৫৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। একই উইকেট সংখ্যা আসিথা ফার্নান্দোরও, যিনি শান্ত ও এনামুল হককে ফিরিয়ে দেন। তবে স্পিনারদের তেমন সহায়তা দেয়নি উইকেট। প্রভাত জয়সুরিয়া ৪২ ওভার বল করে উইকেটহীন ১২৫ রান দিয়েছেন।
যদিও এই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি এখন ৩৮৩ রানে ৪ উইকেটে! শান্ত ও মুশফিকের ২৫০ রানের জুটি টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের অন্যতম বড় জুটি হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে।
যদিও বড় লিডের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ, তবে আজকের সকালের সেশনেই লঙ্কানরা তৈরি করেছিল কিছু সুযোগ। সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় এখন চাপে পড়ছে স্বাগতিকরা। স্পিনারদের উইকেট থেকে সহায়তা না পাওয়ায় ব্যাটারদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হচ্ছে।
মন্তব্য করুন