পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডেতে শুরুটা দারুণ করেছিল শ্রীলঙ্কা। ৪০ ওভার শেষে ২২২ রানে মাত্র ৩ উইকেট হারানো অবস্থায় দুই সেট ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস জমিয়ে খেলছিলেন। তখন মনে হচ্ছিল, ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে লঙ্কানদের সংগ্রহ। কিন্তু সেই আশাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে চমৎকারভাবে ম্যাচে ফিরে মেহেদী হাসান মিরাজের বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া শ্রীলঙ্কাকে শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র ১ রানে আউট হন নিশান মাদুশকা। এরপর নিশাঙ্কা ৩৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন কুশল মেন্ডিস। তিনি আজ খেলেছেন অনবদ্য এক ইনিংস— ১১৪ বলে ১২৪ রান, যেখানে ছিল ১৮টি বাউন্ডারি।
মেন্ডিসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে আসালাঙ্কার ১২৪ রানের জুটি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। আসালাঙ্কা নিজেও খেলেছেন দায়িত্বশীল ৫৮ রানের ইনিংস।
তবে ৪১তম ওভারে আসালাঙ্কা আউট হওয়ার পরই বদলে যায় চিত্র। উইকেটের পতন এবং রানের গতি একসাথে কমে আসে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ৩০০ রানের নিচে থামিয়ে দেয় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাসকিন আহমেদ। দুজনই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম এবং শামিম হোসেন একটি করে উইকেট শিকার করেন। মিরাজ ছিলেন সবচেয়ে কম রান খরচ করা বোলার (১০ ওভারে ৪৮ রান ও ২ উইকেট)।
বাংলাদেশের জন্য এটি হবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা ঠিকই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। তবে পাল্লেকেলের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই রান তাড়া করার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য আছে টাইগার ব্যাটারদের।
ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা যাবে, টাইগাররা কি পারবে এই চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে এবং সিরিজ জিতে দেশে ফেরা সম্ভব করবে, নাকি লঙ্কান স্পিনের ফাঁদে ধরা পড়বে। সবমিলিয়ে উত্তেজনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে পাল্লেকেলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
মন্তব্য করুন