মাসখানেক আগে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো প্রোভ্যালোসিটি ব্যাট নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। গত কয়েক সপ্তাহ জাকের, শামীম, সোহান, হৃদয়ের কাছ থেকে দেখেছেন। শিখিয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ের কৌশল। এই নেট থেকে ওই নেট, কাছ থেকে দিয়েছেন টিপস। চলে যাওয়ার ঘণ্টা বাজছে তার, তবে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের স্টারবয়কে আরেকটু পলিশ করতেই উঠে-পড়ে লাগলেন তিনি। সময়টা যে মোটেও ভালো যাচ্ছে না হৃদয়ের। যদিও উডের ব্যস্ততা দেখে বোঝার উপায় নেই। আগামীকালই টাইগারদের সঙ্গে শেষ দিন!
তার চুক্তি বাড়ানো হচ্ছে না, কারণ বিসিবির মনে হচ্ছে পাওয়ার হিটিং কোচ সারা বছর রাখার প্রয়োজন নেই। আবার লাগলে তাকে বা তার মতো কাউকে ডেকে আনা যাবে। উডের আন্ডারে হিটিং কতটা ইম্প্রুভ হলো তা হয়তো আর কিছু সিরিজ পর্যবেক্ষণ করলেই জানা যেতে পারত।
নেটে হৃদয়কে দেখেই ডেকে পাঠালেন উড। পরে ধরিয়ে দিলেন প্রোভ্যালোসিটি ব্যাটটা। বেশ কিছুক্ষণ তা দিয়ে অনুশীলন করে এবার হৃদয়কে নিজেই শুরু করলেন বল থ্রো। এরপর নেট বোলারের বিপক্ষে চলল হৃদয়ের অনুশীলন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবেই রান করছেন হৃদয়। সমস্যা যে স্ট্রাইক রেট ও পাওয়ার হিটিং নিয়ে। সেটিই পরিবর্তনের চেষ্টা করলেন টাইগারদের মিডল অর্ডারের এই প্রাণভোমরা।
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। ২৭ দিনের জার্নিটা শেষ হচ্ছে কাল। তাই হয়তো শেষ বেলায় জাদুর ব্যাটটা ছুঁয়ে দেখে গেলেন জাকের, রিশাদরা। চলে যাচ্ছেন উড, তবে তার প্রোভ্যালোসিটির ম্যাজিক কি মুগ্ধ করবে, উদ্ধারে সাহায্য করবে টাইগার ক্রিকেট! উত্তরটা তোলা থাকছে সময়ের খাতাতেই।
মন্তব্য করুন