দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি তখনো গমগম করছে পাকিস্তানের ঝড়ো সূচনায়। শুরুতে ওপেনাররা ভারতীয় বোলারদের উপর ছড়িয়েছিলেন দাপট। মনে হচ্ছিল, ফাইনালের মঞ্চে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেবে বাবরবিহীন পাকিস্তান। কিন্তু মাঝপথে হঠাৎ থেমে গেল সেই ছন্দ। কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিজালে ভরাডুবি হলো পুরো মিডল অর্ডার, ১৯.১ ওভারে অলআউট পাকিস্তান ১৪৬ রানে।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া সুর্যকুমার যাদবের সিদ্ধান্তে প্রথমে প্রশ্ন উঠেছিল। কারণ ইনিংসের প্রথমভাগেই পাকিস্তানের ওপেনাররা দেখিয়ে দিয়েছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজ। সাহিবজাদা ফারহান আর ফখর জামানের জুটিতে অর্ধেক পথেই ওঠে যায় ৮৪ রান। ম্যাচ তখন পাকিস্তানের হাতেই চলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল।
কিন্তু বরুন চক্রবর্তীর এক ওভারেই ভাঙে দৃঢ় ওপেনিং জুটি। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফারহান। সেই ধাক্কা সামাল দিতে নামা সাইম আয়ুবও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩তম ওভারে কুলদীপের শিকার হয়ে ফেরেন মাত্র ১৪ রানে।
সেখান থেকেই শুরু হয় পতনের স্রোত। ফখর জামান লড়াই করছিলেন, কিন্তু তিনিও ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের পর কুলদীপের ঘূর্ণিতে হার মানেন। এরপর পরপর উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৫ বলে ছয় ব্যাটার সাজঘরে। ১৭তম ওভার শেষে পাকিস্তান দাঁড়িয়ে যায় ১৩৪/৮ এ।
কুলদীপ যাদব ছিলেন ভারতীয় বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় তুলে নেন চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রীত বুমরাহ এবং বরুণ চক্রবর্তী—প্রত্যেকে নেন দুইটি করে উইকেট।
অসাধারণ সূচনার পরও পাকিস্তানের ইনিংস এভাবে ভেঙে পড়া নিঃসন্দেহে ভারতের বোলারদের কৃতিত্ব। আর এখন সব চোখ ভারতের ব্যাটিংয়ের দিকে—ফাইনালের মঞ্চে ১৪৭ রানের লক্ষ্য কি সহজেই টপকে যাবে সুর্যকুমারের দল? নাকি লড়াইয়ে ফিরতে পারবে পাকিস্তানের বোলাররা?
মন্তব্য করুন