পর্দা উঠছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মূল আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ম্যাচ না খেলার কারণে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে লঙ্কানরা। গত আসরের মতো এবারের বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে টাইগ্রেসরা।
এবারের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনেক দিক থেকেই অন্য রকম। সব নারী আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল, রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি-সবই থাকছে এবারের নারী বিশ্বকাপে।
এবারের বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা মেয়েদের যে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। আগামী ২ নভেম্বর নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে দেশ ছাড়ার আগে একাধিক ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশার কথা জানান অধিনায়ক নিগার সুলতানা। বাংলাদেশ দল এবার প্রথম পর্বে একটি ম্যাচ জিতলেই পাবে ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এমনকি তারা যদি কোনো ম্যাচ নাও জেতে তবুও পাবে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পায় ভারত। এ ছাড়া বাকি পাঁচ দল হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের খেলার টিকিট পায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
মন্তব্য করুন