

ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে মুক্ত রাখা বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের নামিদামি লিগে হারহামেশাই ঘটছে ফিক্সিংয়ের ঘটনা। এবার এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে নজর পড়েছে জুয়াড়িদের। জাতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার এবং রংপুরের ক্রিকেটার নাঈম ইসলামকে দেওয়া হয় ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব।
৩৮ বছর বয়সী অভিজ্ঞ নাঈম অবশ্য সে পথে পা বাড়াননি। সঙ্গে সঙ্গে তা দুর্নীতি দমন বিভাগকে অবহিত করেছেন তিনি। তবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির মতো অপেক্ষাকৃত ছোট পরিসরের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে জুয়াড়িদের নজরদারি কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ দেশের ক্রিকেটাঙ্গনের জন্য।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির ম্যাচে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিভাগের মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর বিভাগ। ম্যাচ শুরুর আগে নিয়ম অনুযায়ী সবার মতো মোবাইল জমা দেন নাঈমও। ম্যাচ শেষে ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পান অপরিচিত নম্বর থেকে সন্দেহজনক মেসেজ। টিম ম্যানেজার তারেক আহমেদ রুবেনকে বিষয়টি জানালে তিনি তা দুর্নীতি দমন বিভাগ-এসিইউর কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, ‘ডেভিল’ ছদ্মনামধারী বার্তাপ্রেরকের নম্বর ছিল যুক্তরাজ্যের। পরিচয় দেখিয়েছে ভারতীয় অমিত এমজেঠিয়া। মূলত ম্যাচের মাঝখানে ১ ওভার ফিক্সিং করার জন্যই কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। নাঈমের বিচক্ষণতা ও সততাকে আইসিসি ও বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের কার্যক্রমের সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে চলছে তদন্ত।
সূত্র- বিডিক্রিকটাইম
মন্তব্য করুন