

আইরিশদের ১৮১ রানের বড় টার্গেটের চাপে নেমেই যেন নিজেরাই ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ। রানতাড়া শুরুর পর থেকেই উইকেট যেন পড়ছে টপাটপ। মাত্র ৬ ওভারেই ২০/৪—পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে গেছে লিটন দাসের দল।
টিম টেক্টর–হ্যারি টেক্টরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। সেই চাপে নেমে বাংলাদেশ প্রতিক্রিয়াই দেখাতে পারল না। প্রথম ওভার, দ্বিতীয় ওভার, তৃতীয়—প্রতি ওভারেই নতুন ধাক্কা।
রানচেজের প্রথম ওভারেই ম্যাথু হামফ্রিসের স্পিনে ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। গিয়ে বসা উইকেটে টেনে তুলে মারতে গিয়ে মিড-অফে সহজ ক্যাচ দিলেন তানজিদ হাসান—৫ বলেই শেষ, ২ রানেই ফেরত গেলেন প্যাভিলিয়নে। স্কোর তখন ২/১।
দ্বিতীয় ওভারে এল আরও বড় ধাক্কা। অ্যাডাইরের শর্ট বলে পথ হারালেন অধিনায়ক লিটন দাস। অসংলগ্ন শট বাছাই, খারাপ টাইমিং—ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে টিম টেক্টরের হাতে ধরা। ৩ বলে ১ রানে থামলেন লিটন। বাংলােদেশ তখন ৪/২।
তৃতীয় উইকেট গেল আরও বাজেভাবে। ৬ বলে ১ রান করা পারভেজ হোসেন এমন তুলে মারতে গিয়ে জর্জ ডকরেলের হাতে ধরা। অ্যাডাইর পেলেন দ্বিতীয় উইকেট। বাংলাদেশ তখন ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছে। স্টেডিয়ামের পরিবেশেও যেন নেমে এল স্তব্ধতা।
সামান্য স্থির হতে না হতেই আবার আঘাত। ব্যারি ম্যাকার্থির ইন-ডিপ সিমার সাইফ হাসানের ব্যাট–প্যাড গ্যাপ দিয়ে ভেদ করে সরাসরি আছড়ে পড়ল অফ-মিডল স্টাম্পে। ১৩ বলে ৬ রানের ইনিংসের পর তিনিই হলেন চতুর্থ শিকার। বাংলাদেশ তখন ১৮/৪। পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ড বলছে—২০/৪।
ক্রিজে এখন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী। দুজনেই চেষ্টা করছেন ইনিংসটাকে টেনে তোলার। কিন্তু ওদিকে আইরিশ বোলারদের লাইন–লেংথ এতটাই নিখুঁত যে রান তুলতেই হিমশিম।
১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারেই ভেঙে পড়া যেন বহুদিনের ব্যাটিং ব্যর্থতার আরেকটা পুনরাবৃত্তি।
মন্তব্য করুন