

চট্টগ্রামের প্রথম টি–টোয়েন্টির শুরুটা ছিল বাংলাদেশি বোলারদের জন্য সতর্কবার্তা। আয়ারল্যান্ড এসেছে টেস্ট হারের ক্ষত ভুলে নতুন মিশনে, আর প্রথম ম্যাচেই তাদের ব্যাটিং ছড়িয়েছে আক্রমণের পূর্ণ ছবি—যার কেন্দ্রবিন্দুতে হ্যারি টেক্টর। তার ঝড়ে শেষে ১৮১ রানে থামে আয়ারল্যান্ড, ফলে ম্যাচ জিততে এখন বাংলাদেশের দরকার ১৮২।
শেষ ওভারে তানজিম হাসানকে দুটি বিশাল ছক্কা—হ্যারি টেক্টরের ব্যাটে জন্ম নিল ম্যাচের সবচেয়ে বড় পার্থক্যটি। ৪৫ বলের ইনিংসে ৫ ছক্কা ও ১ চার মেরে ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন তিনি। এই ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড গড়েছে নিজেদের টি–টোয়েন্টির সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর—১৮১/৪।
টেক্টরের সঙ্গে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবদান তার ভাই টিম টেক্টরের—২৪ বলে ৩২ রান। শুরুতে স্টার্লিং–টেক্টরদের ৪৮ রানের পাওয়ারপ্লে, মাঝে টেক্টর ভাইদের ২৪ বলের ৩১ রানের অংশীদারিত্ব, আর শেষে ক্যাম্ফার–টেক্টরের ছোটঝড়—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সামনে বেশ বড় লক্ষ্যই এল।
বাংলাদেশি বোলারদের জন্য দিনটি অবশ্য ভালো ছিল না। পেসার তানজিম হাসান সবচেয়ে বেশি উইকেট (২) নিলেও খরুচে—৪ ওভারে ৪১ রান। শরীফুল ইসলাম শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও পরে টাকারকে ফেরান। নাসুম–রিশাদ শুরুতে নিয়ন্ত্রিত, মাঝ ওভারে টেক্টর–ভাইদের বাউন্ডারি খান অবশ্য। অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে খানিকটা নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়েছিলেন
সব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং পরিকল্পনা ছিল পরিষ্কার—মাঝে রক্ষণ, শেষে সর্বশক্তির আঘাত। সেটাই এনে দিয়েছে ১৮২ রানের লড়াকু লক্ষ্য।
চট্টগ্রামের এই উইকেটে ১৮২ রান তাড়া করে জেতার ঘটনা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে মাত্র একবারই ঘটেছে—২০১৪ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ১৯০ ছুঁয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে লিটন–তানজিদ–পারভেজ–হৃদয়দের উপস্থিতি দর্শকদের আশা দিচ্ছে একটি লড়াইয়ের।
মন্তব্য করুন