

বিপিএলে একপেশে ম্যাচের ধারা অব্যাহত থাকল সিলেটের রাতে। অধিনায়ক পরিবর্তন করেও ফলাফলে কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারল না নোয়াখালী। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচেও তারা পরাজয়ের বৃত্তেই রইল, বরং রাজশাহী তুলে নিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয়।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নোয়াখালীর ব্যাটিং শুরু থেকেই ছিল ধীর ও চাপের মধ্যে। ২০ ওভার পূর্ণ করলেও ৮ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১২৪ রান। নতুন অধিনায়ক হায়দার আলীর নেতৃত্বেও ইনিংসে গতি আসেনি। হায়দারই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন, খেলেন ২৮ বল। মাহিদুল ইসলাম ২৭ বল খেলে করেন ২২ রান, আর মাজ সাদাকাতের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৫ রান। এর বাইরে কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।
নোয়াখালীকে কম রানে আটকে রাখার মূল কারিগর ছিলেন রাজশাহীর পেসার রিপন মণ্ডল। চার ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। এটি ছিল তার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। তানজিম হাসানও কার্যকর ভূমিকা রেখে নেন ২ উইকেট।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে হারালেও খুব একটা চাপে পড়তে হয়নি রাজশাহীকে। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন ও তানজিদ হাসানের ৬৫ রানের জুটি লক্ষ্য তাড়াকে সহজ করে দেয়। তানজিদ ২৯ ও নাজমুল ২৪ রান করে ফিরলেও এরপর দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম।
ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুশফিক। ৩০ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, আর ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২৩ রান। ১৭.৫ ওভারেই ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেল রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, আর টানা তিন হারে টুর্নামেন্টে আরও চাপে পড়ল নোয়াখালী। ম্যাচসেরার পুরস্কার পান দুর্দান্ত বোলিং করা রিপন মণ্ডল।
মন্তব্য করুন