

রংপুর রাইডার্সের সামনে একেবারেই দাঁড়াতে পারল না চট্টগ্রাম রয়্যালস। না ব্যাটিংয়ে, না বোলিংয়ে—দুই বিভাগেই স্পষ্টভাবে পিছিয়ে থেকে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারতে হলো চট্টগ্রামকে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মাত্র ১০২ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে রংপুর ৫ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে, জয় পায় ৭ উইকেটে।
রংপুরের জয়ের ভিত গড়ে দেন ওপেনার লিটন দাস ও ডেভিড মালান। দুজনের ৯১ রানের জুটিতেই কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। মালান শুরুতে আক্রমণাত্মক থাকলেও পরে ইনিংস গুছিয়ে নেন, আর লিটন ধীরে শুরু করে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়ান। নবম ওভারে এই জুটি থেকেই আসে ২৪ রান, যা চট্টগ্রামের জন্য ম্যাচ আরও কঠিন করে তোলে।
লিটন দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়ে ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি ছোঁয়া হয়নি। ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রান করে আউট হন তিনি। একই ওভারে তিন নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয়কেও ফেরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। তবে মালান নিজের দায়িত্ব ঠিকই পালন করেন। ৪৮ বলে ৫১ রান করে জয়ের ওভারে আউট হন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও খুশদিল শাহ বাকি কাজ সারেন।
এর আগে চট্টগ্রামের ব্যাটিং ইনিংসে একমাত্র উজ্জ্বলতা ছিলেন নাঈম শেখ। ওপেনিংয়ে নেমে ২০ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তৃতীয় ওভারে একাই ২১ রান তুলে নেওয়ার পর চট্টগ্রামের শুরুটা আশাব্যঞ্জক মনে হলেও, নাইম আউট হওয়ার পরই ধস নামে। এরপর আর কেউ দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি।
রংপুরের বোলিংয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালান পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফ। মাত্র ১৭ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ও আলিস আল ইসলামও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে চাপ বাড়ান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারও পূর্ণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম, ১০২ রানেই থামে তাদের ইনিংস।
সব মিলিয়ে একপেশে ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নেয় রংপুর রাইডার্স, আর চট্টগ্রাম রয়্যালসকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিয়েই।
মন্তব্য করুন