বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গতকালের ম্যাচটি ছিল পুরোপুরি একপেশে। বাংলাদেশের করা ২৫৬ রানের জবাবে বলতে গেলে হেসে খেলেই জিতেছে ভারত। ম্যাচে হারজিতের ন্যূনতম রোমাঞ্চ নেই, সমস্ত উত্তেজনা ছিল বিরাট কোহলির শতরান হবে কি হবে না এই নিয়ে। দলের জিততে যখন দরকার মাত্র ২ রান, হাতে ৯ ওভার বাকি তখন কোহলির রান ৯৭। এমন সময় টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ বলটা করলেন লেগ স্টাম্পের বাইরে। ম্যাচ শেষে তাই অবধারিত ভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলো ভারত ও বাংলাদেশ দুই শিবিরেই।
নাসুম আহমেদের করা সেই বল নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে নাসুমের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলটি ইচ্ছাকৃত ছিল কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘না না, এরকম কোনো প্ল্যান ছিল না। নরমাল প্ল্যান ছিল। কোনো বোলারের এমন কোনো ইনটেনশন ছিল না ওয়াইড বল করবে। আমরা প্রপার গেইম খেলার চেষ্টা করেছি।’
একই প্রশ্ন করা হয় ভারতের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা গিলের কাছেও। তাকে জিজ্ঞেস করা হয় ওই ডেলিভারির সময় তিনি অবাক হয়েছিলেন কি না। ভারতীয় ওপেনার হেসে ইঙ্গিত করেন আম্পায়ারের ওয়াইড না দেওয়া নিয়েও, 'কোনটাতে অবাক হব? ডেলিভারিটা নাকি সিদ্ধান্তটা (হাসি)।’
পরে নাসুমের পক্ষ নিয়ে গিল বলেন, ‘ইচ্ছে করে কি না কীভাবে বলি। আমার মনে হয় বোলার আঁটসাঁট লাইনে বল করতে চেয়েছে, তাই ওরকম হয়ে গেছে।’
শ্রীলঙ্কার বোলার সুরজ রণদিভও একবার ইচ্ছে করে নো বল করে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করেছিলেন শতরানের দোরগোড়ায় থাকা বীরেন্দর শেবাগকে। অথচ বছর দশেক আগে, চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্টটা আম্পায়াররা ড্র ঘোষণা করার পর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আরও এক ওভার খেলিয়েছিলেন, কারণ সাকিব ছিলেন ৪৬ রানে অপরাজিত। ইশ সোধির করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাকিব চার মারেন, হাফসেঞ্চুরি হয় আর খেলাও ঘোষণা করা হয় ড্র।
বাংলাদেশের এই ম্যাচ থেকে প্রাপ্তি সামান্যই, তবে অন্যের অর্জনকে নষ্ট করে দেওয়ার প্রচেষ্টাটা গেছে ক্রিকেটের চেতনার বিপক্ষেই।
মন্তব্য করুন