ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ২০তম ম্যাচে যখন প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৯৯ রান করল তখনই অনেক ক্রিকেট ভক্ত ম্যাচের ফল দেখতে পারছিল তবে বিপক্ষ দলটি যে ছিল বাজবলের পতাকা বহনকারী ইংল্যান্ড। তাই হয়তো ইংলিশদের ৪০০ রানের টার্গেট দেওয়ার পরেও দর্শকদের আশা ছিল জমজমাট একটা রান চেজ দেখার তবে সেই আশাতে জল ঢেলে রুট-স্টোকসদের ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
শনিবার (২১ অক্টোবর) ভারত বিশ্বকাপের ২০তম ম্যাচে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়ো শতকে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ২২ ওভারে ১৭০ রান তুলতেই শেষ হয় ইংলিশদের ইনিংস। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ২২৯ রানের বড় জয় পায়।
বেলা আড়াইটায় শুরু হওয়া ম্যাচে দ্বিতীয় বলেই ইনফর্ম কুইন্টন ডি কককে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করে ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন রাসি ফন ডার ডুসেন ও রেজা হেনড্রিকস সেই শুরুর শেষ ঘটান। ২০তম ওভারে ইংলিশদের খেলায় ফেরান লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ডুসেনকে ৬০ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান এই ইংলিশ স্পিনার। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার অসুস্থতার কারণে ওপেনিংয়ে নামা রেজা ৭৫ বলে ৮৫ রানে আউট হন।
এরপর অল্পরানে ডেভিড মিলার আউট হওয়ার পর শুরু হয় ক্লাসেন শো। প্রোটিয়াদের রান পাহাড়ে বড় অবদান ক্লাসেন এবং জেনসেনের। মাত্র ৭৭ বলে ১৫১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি উপহার দেন দুজনে। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ক্লাসেন। ৬৭ বলে ১২ চার এবং ৪ ছক্কায় ১০৯ রানের ইনিংস সাজান তিনি। জেনসেন অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ৬ ছক্কার মার।
ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিলেও বেশ খরুচে ছিলেন রিচ টপলি। ৮.৫ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৮৮ রান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন গাস অ্যাটকিনসন ও আদিল রশিদ।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো। সুবিধা করতে পারেননি ডেভিড মালান, জো রুট, বেন স্টোকসরাও। এই তিন ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে ফেইল করেছে ইংলিশ মিডল অর্ডারও। তাতে দলীয় ১০০ রানে ৮ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদিও শেষ দিকে মার্ক উড ও গাস এটকিনসন কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। তবে সেটা কেবলই খানিকটা ব্যবধান কমিয়েছে। হার থেকে বাঁচাতে পারেনি।
বিশাল এই হারে পয়েন্ট টেবিলের নয়ে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
মন্তব্য করুন