এবারের বিশ্বকাপে বলতে গেলে একপ্রকার ওয়াইল্ড কার্ড হিসেবেই আবির্ভাব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বলতে গেলে একপ্রকার দাপটের সাথেই সেমিতে পা রেখেছে প্রোটিয়ারা। তাদের এ সাফল্যের পেছনে ডি ককের ধারাবাহিকতা ও বাকি দলের পারফরম্যান্সের সঙ্গে আরেকটি বিষয় কাজ করেছে সেটি হলো তাদের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বলা হয়, টেম্বা বাভুমার জেদই নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার সাফল্যের বড় শক্তি। এই এক জেদই নাকি বিশ্বকাপটা নিয়ে যেতে পারে আফ্রিকান দেশটিতে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় ইনিংসের নবম বলে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তাৎক্ষণিক মাঠ ছাড়লেও বাভুমা ওই ইনজুরি নিয়ে চতুর্থ ওভারে মাঠে ফিরে প্রায় পুরো ম্যাচ ফিল্ডিং করেন। এরপর ব্যাট হাতে ইনিংসও ওপেন করেন তিনি। পুরোটাই যে জেদের বশে, সেটা স্বীকারও করেছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। কিন্তু আফগানদের সঙ্গে এই জেদই তার জন্য কাল হয়ে দেখা দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনালে তাকে পাওয়া নিয়ে দেথা দিয়েছে সংশয়।
ইনজুরিতে পড়ার পর বেশ ঝুঁকি নিয়েই আফগানদের বিপক্ষে খেলেছিলেন বাভুমা। যে কারণে ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচ মিস করবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা আছে এখনো। বাভুমাও ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ইনজুরির অবস্থা কী তিনি তা জানেন না। তবে সেমিফাইনাল খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাভুমার জেদের নমুনা দেখা গেল ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠেই পূর্ণ অনুশীলন করেছেন তিনি। তাতে অবশ্য দলের ফিজিও বিভাগের সায় ছিল। উন্নতি করায় শনিবার স্ক্যান করানোর কথা থাকলেও তা টিম ম্যানেজমেন্ট করায়নি। স্ক্যান না করার কারণ অবশ্য গণমাধ্যমের সামনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি না থাকায় বাভুমা পায়ের মাংসপেশির স্ক্যান করাননি বলে মনে করা হয়।
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বাভুমা অনুশীলন করলেও এরপরই তাকে হাসপাতালে ছুটতে হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে চোট পরীক্ষা করাতে যান তিনি। এ কারণেই তাকে সেমিতে পাওয়া নিয়ে প্রোটিয়া শিবিরে দেখা দিয়েছে সংশয়।
অবশ্য বাভুমা নেটে প্রায় ২০ মিনিট মতো ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। সেখানে কোন অস্বস্তি হয়নি তার, পুরোপুরি রিদমে ব্যাট চালাতে পেরেছেন। তবে এদিন উইকেটে রানিং অনুশীলন করেন তিনি। বলকে ব্যাটের মাঝে লাগানোর তাগিদে স্ট্যাম্প হাতেও ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে তাকে।
মন্তব্য করুন