দ্বিতীয় দিনের শেষে নিউজিল্যান্ডের ৮ উইকেট নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতেই ছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্তর দলের আশা ছিল তৃতীয় দিনের শুরুতেই কিউইদের অলআউট করা। উইলিয়ামসনকে বারবার জীবন দিলেও শেষ পর্যন্ত কিছুটা লিড পাওয়ার স্বপ্ন ছিল স্বাগতিকদের। তৃতীয় দিন সকালে দ্রুত কিউইদের ফিরিয়ে দিয়ে স্বল্প লিডও সিলেটের এই পিচে হতে পারত সাইকোলজিক্যাল অ্যাডভান্টেজ।
কিন্তু দুই উইকেট হাতে থাকা নিউজিল্যান্ডই উল্টো এগিয়ে গেছে মানসিক ভাবে। তৃতীয় দিনের শুরুতে কাইল জেমিসন এবং টিম সাউদির বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে সকালে দেখেশুনেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে কিউইদের। নিউজিল্যান্ডকে দিয়েছেন মহামূল্যবান লিড। ২৬৪ রানে ৮ম উইকেট পতনের পর নবম উইকেটে এই দুজন গড়েছেন ৪৯ রানের জুটি। তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া শুরু হয়েছে বাংলাদেশের।
ম্যাচের ১০১ ওভার শেষে ৬ রানের লিডে আছে কিউইরা। দ্রুত এই শেষ দুই উইকেট নিতে না পারলে বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ।
অবশ্য তৃতীয় দিন সকাল থেকেই দুর্বল বোলিং করেছে বাংলাদেশ। একে একে আক্রমণে আনা হয়েছে তিন স্পিনার আর এক পেসারের সবাইকে। তবে উইকেট তো দূরে থাক ন্যূনতম চাপটাও সৃষ্টি করা হয়নি টাইগার বোলারদের। বরং ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের হতাশাই বাড়িয়েছেন জেমিসন-সাউদি। দুজনের ১০৩ বলে অর্ধশত রানের জুটি টিকিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ডকে।
মন্তব্য করুন