সাগরিকার হ্যাটট্রিকে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে ভুটানকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাাদেশ। থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
গোলবারের নিচে রুপনা চাকমা। রক্ষণে শিউলি আজিম, শামসুন নাহার, মাসুরা পারভীন, নিলুফার ইয়াসমিন নীলাকে রাখেন বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। মাঝমাঠে মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, ঋতু পর্না চাকমার সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
আক্রমণভাগে সুরভী আকন্দ প্রীতির সঙ্গী হয়েছিলেন সুলতানা আক্তার। ৪-৪-২ ফরমেশনে শুরু করা বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ছিল ছন্নছাড়া।
ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে ইউটিউব সম্প্রচার মাধ্যমে খেলা দেখা কঠিন ছিল। কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন দেশ থেকে খেলা দেখা ফুটবলামোদীদের মন্তব্যের অধিকাংশই ছিল বিস্ময়মাখা! সেটা ভুটান ফুটবলের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমার্ধে যে ফুটবল খেলল ভুটানিরা, তা ছিল চমকপ্রদ! রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ মিলিয়ে দারুণ ফুটবল খেলেছে স্বাগতিকরা। এ সময় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ভুটান। কিন্তু বিরতির পর বাংলাদেশের ছন্দ ফেরায় খেই হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
বিরতির পর পাত্তা পায়নি ২০২২ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল করে বাংলাদেশ। চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচের একাদশের বাইরে ছিলেন সাবিনা খাতুন। এ ম্যাচ দিয়ে ফিরলেন। ফেরাটা উদযাপন করেছেন গোল দিয়ে।
৫০ মিনিটে সাগরিকা গোলে সমতায় আসে বাংলাদেশ। ৫৩ মিনিটে সাবিনা খাতুনের গোলে লিড পায় লাল-সবুজরা। ৫৫ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান ঋতু পর্না চাকমা। ৭৬ মিনিটে বাংলাদেশকে ৪-১ গোলে এগিয়ে দেন মোসাম্মদ সাগরিকা। যোগকরা সময়ের প্রথম মিনিটে পঞ্চম গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সাগরিকা।
মন্তব্য করুন