২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ব্রাজিল জাতীয় দলে দেখা যাচ্ছে আক্রমণভাগে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস। রোববার সকালে সাও পাওলোতে করিন্থিয়ান্সের জোয়াকিম গ্রাভা ট্রেনিং সেন্টারে অনুশীলনে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সঙ্গে ছিলেন রাফিনিয়া ও মাথ্যুস কুনহা—দুজনই আগের ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন না।
আগের ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর আক্রমণভাগ নিয়ে ভাবনায় পড়েন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। সে জায়গা থেকেই অনুশীলনে পরীক্ষা চালান তিনি—সাসপেনশন কাটিয়ে রাফিনিয়ার প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশিতই ছিল, তবে কুনহাকে দেখা যাবে রিচার্লিসনের জায়গায় খেলতে।
এতে করে ব্রাজিলের আক্রমণভাগে এসেছে বাড়তি গতি ও গতিশীলতা। টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন যেখানে বক্সের মধ্যে অপেক্ষায় থাকেন, সেখানে ইউনাইটেডের নতুন ফরোয়ার্ড কুনহা নড়েচড়ে খেলেন—ভিনিসিয়ুস ও রাফিনিয়ার জন্য গোলের সামনে জায়গা তৈরি করে দেন।
শনিবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে এই পরিবর্তন নিয়ে কথা বলেন আনচেলত্তি। তাদের চলাফেরা, পজিশনিং ও আক্রমণ গঠনের দিকনির্দেশনা দেন তিনি। তবে চূড়ান্ত একাদশ ঘোষণা হবে সোমবার, ম্যাচের ভেন্যু নিও কেমিকা অ্যারেনায় অনুশীলন শেষে।
রোববারের অনুশীলনে দেখা গেছে মূল দল এইভাবে:
আলিসন; ভানডারসন, মারকুইনিয়োস, আলেক্স ও আলেক্স সান্দ্রো; কাসেমিরো, ব্রুনো গিমারায়েস ও জেরসন; রাফিনিয়া, মাথ্যুস কুনহা ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
ম্যাচ চলাকালীন বিকল্প কৌশলও অনুশীলন করান আনচেলত্তি—চার ফরোয়ার্ড নিয়ে রক্ষণচাপা দল ভাঙার কৌশল। এতে জেরসন ও পরে গিমারায়েসকে তুলে এনে মাঠে আনা হয় গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ও রিচার্লিসনকে। এই আক্রমণাত্মক ছক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হতে পারে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচেও।
এই ম্যাচে জয় পেলে এবং অন্যদিকে মন্টেভিডিওতে উরুগুয়ে যদি ভেনেজুয়েলাকে হারায়, তাহলে আগেভাগেই ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের।
বর্তমানে ২২ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছে চতুর্থ স্থানে—সামনে রয়েছে প্যারাগুয়ে, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বের ১৬তম রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হবে ব্রাসিলিয়ার সময় রাত ৯:৪৫টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৪৫মিনিট) সাও পাওলোতে।
এখন দেখার বিষয়, আনচেলত্তির নতুন এই আক্রমণ ছক ব্রাজিলকে শুধু জয় এনে দেয় নাকি নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিটও।
মন্তব্য করুন