

রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল—দুই দলের রক্ষণভাগেই বড় ধাক্কা। গুরুতর চোটে পড়েছেন রিয়াল ও ব্রাজিলের ডিফেন্ডার এদার মিলিতাও। বাম পায়ের বাইসেপস ফেমোরিস মাংসপেশিতে ছিঁড়েসঁড়ে যাওয়া চোটের সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে কাছের টেন্ডনও। ফলে সবকিছু ঠিক থাকলেও অন্তত সাড়ে তিন মাস, আর পরিস্থিতি জটিল হলে প্রায় চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ব্রাজিলিয়ান এই সেন্টার-ব্যাককে।
এর অর্থ—২০২৬ সালের এপ্রিলের আগে মিলিতাওয়ের ফেরা কার্যত অনিশ্চিত।
লা লিগায় সেল্তার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধের মাঝপথে ঘটে ঘটনাটি। দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণে পল দুরানকে থামাতে দৌড় দিতে গিয়েই আচমকা তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন মিলিতাও। সঙ্গে সঙ্গে বাম উরু ধরে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দ্রুত পরিবর্তনের ইশারা দেন। মাঠ ছাড়ার সময় বুঝে গিয়েছিল সবাই—চোট গুরুতর। পরদিন এমআরআই পরীক্ষায় সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়।
চলতি মৌসুমে এটি মিলিতাওয়ের তৃতীয় চোট। এর আগে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে গিয়ে ডান পায়ের অ্যাডাক্টর ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে বারবার চোটে পড়া রিয়ালের জন্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
মিলিতাওয়ের ইনজুরিতে এখন রিয়াল মাদ্রিদের ছয়জন ডিফেন্ডারই চোটের তালিকায়। কারভাহাল, ট্রেন্ট, আলাবা, মেন্ডি, হুইসেনের পর এবার মিলিতাও। যার অর্থ—স্কোয়াডের প্রায় ৬০ শতাংশ ডিফেন্ডার আহত।
এই অবস্থায় রুদিগার, আসেনসিও, ক্যারেরাস ও ফ্রান গার্সিয়াই আপাতত একমাত্র ফিট ডিফেন্ডার। প্রয়োজনে ভ্যালভারদেকে ফুল-ব্যাকে, চুয়ামেনিকে সেন্টার-ব্যাকে এবং কামাভিঙ্গাকে আবারও লেফট-ব্যাকে খেলানোর পরিকল্পনা করতে হচ্ছে কোচিং স্টাফকে।
শুধু ক্লাব নয়, ব্রাজিল জাতীয় দলের জন্যও এই চোট বড় চিন্তার কারণ। আসন্ন আন্তর্জাতিক সূচি এবং বিশ্বকাপ প্রস্তুতির পথে মিলিতাও ছিলেন রক্ষণভাগের অন্যতম স্তম্ভ। দীর্ঘ সময় তাকে না পাওয়া ব্রাজিলের ডিফেন্স লাইনে নতুন পরীক্ষার পথে ঠেলে দেবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও ঘরোয়া কাপ—সব প্রতিযোগিতিতেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অপেক্ষা করছে রিয়ালের সামনে। আর সেই সময়েই রক্ষণভাগের অন্যতম ভরসাকে হারানো দলটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল—দু’দলই এখন প্রার্থনা করছে একটাই বিষয়ে: মিলিতাও যেন দ্রুত ও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরতে পারেন।
মন্তব্য করুন