লিওনেল মেসির জন্মদিন মানেই ভক্তদের জন্য উৎসব। জুনের ২৪ তারিখ এলেই বিশ্বজুড়ে মিলিয়ন মিলিয়ন সমর্থক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে যান একটাই শুভেচ্ছায়—‘শুভ জন্মদিন, মেসি।’ তবে এবারের ৩৮তম জন্মদিনটা একটু অন্যরকম। কেননা এবার তিনি নেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে, নেই ছুটির আমেজেও। বরং জন্মদিনের আগের রাতেই মাঠে নেমে দলকে তুলে এনেছেন ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে।
ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার, জাতীয় দলের বাইরে জন্মদিন
২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের পর ১১ বার জন্মদিন কাটিয়েছেন জাতীয় দলের সঙ্গে। কখনও কোপা আমেরিকার আসরে, কখনও বিশ্বকাপে, কখনওবা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে। এমনকি ২০০৪ সালেও জন্মদিনের ঠিক পরদিন যোগ দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার যুবদলে। কিন্তু এবারের জন্মদিনটা ক্যারিয়ারে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় দলের বাইরে কাটছে। (কোভিড পরিস্থিতে ২০২০ সালে কাটে বার্সার হয়ে ম্যাচে)
এবার মেসি আছেন ইন্টার মায়ামির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে। জন্মদিনের ঠিক আগের রাতে খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে, যে ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে শেষ ষোলোতে উঠে যায় মায়ামি। এখন সামনে অপেক্ষায় মেসির পুরনো ক্লাব পিএসজি।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা মাঠেই!
ম্যাচ শেষে এক হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তে মেসিকে আলিঙ্গন করেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ডিজালমিনহা। উপহার দেন নিজের জার্সিও। জন্মদিনের রাতে এমন সম্মান, এমন ভালোবাসা যে মেসিই পান, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অতীতের জন্মদিনগুলোতে যা হতো
মেসির বয়স বাড়লেও তার ছন্দে কোনো ভাটা নেই। ইন্টার মায়ামির হয়ে গোল করছেন, ম্যাচে প্রভাব রাখছেন, ঠিক যেমনটা পিএসজি বা বার্সেলোনার জার্সিতেও করতেন। ৩৮-এর মেসি আজও মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য ভয়, আর ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আনন্দের নাম।
এই বছর মেসির জন্মদিন আলাদা—কারণ এখানে নেই উৎসবের ছুটি, নেই জাতীয় দলের বাঁধা ছক। বরং রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ক্লাব বিশ্বকাপের উত্তেজনা, আর সামনে অপেক্ষা করছে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ। কিন্তু দিনশেষে একটি বিষয় একই আছে—বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষের ভালোবাসা, শুধু একজন লিওনেল মেসির জন্য।
শুভ জন্মদিন, ফুটবলের রাজপুত্র!
মন্তব্য করুন