মাঠে গতি, শক্তি আর নিখুঁত ফিনিশিং—এতেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত নরওয়ে ও ম্যানসিটির স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের মাঠের বাইরে আরেকটি তীব্র নেশা আছে—বিলাসবহুল গাড়ি সংগ্রহ। আর এই শখ পূরণে তিনি এ বছরই খরচ করেছেন ৫ মিলিয়ন ইউরোর বেশি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে তার গ্যারেজে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্ড শেলবি এফ-১৫০ সুপার স্নেক স্পোর্ট—একটি প্রকৃত ‘দানব’ গাড়ি। পাঁচ লিটার ভি৮ ইঞ্জিন, মাত্র ৩.৪ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিমি গতি তোলার ক্ষমতা, আর বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই ‘মনস্টার ট্রাক’ নিয়ে সম্প্রতি সিটির প্রশিক্ষণ মাঠে হাজির হয়েছিলেন হল্যান্ড, যা দেখে সতীর্থদেরও চোখ কপালে উঠেছিল।
তবে এটিই তার একমাত্র দামি সম্পদ নয়। এর আগে তিনি নিজের সংগ্রহে এনেছেন কমলা রঙের পোর্শে ৯১১ জিটি৩, হলুদ ফেরারি ৮১২ সুপারফাস্ট কনভার্টিবল (মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা) এবং একটি অ্যাস্টন মার্টিন ডিবিএক্স ৪x৪ (প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা)। কিন্তু সবার সেরা ‘রত্ন’ এসেছে নরওয়েজিয়ান ধনকুবের ওলে এর্টভাগের সঙ্গে যৌথভাবে—বুগাটি টুর্বিয়ন।
মাত্র ২৫০টি ইউনিটে তৈরি এই সুপারকারটি একেবারেই অটোমোটিভ জগতের এক মহাকাব্য। ১,৮০০ হর্সপাওয়ারের হাইব্রিড ভি১৬ ইঞ্জিন, মাত্র ২ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০ কিমি এবং ৫ সেকেন্ডে ২০০ কিমি গতি তোলার ক্ষমতা—এর দামই প্রায় ৬০ কোটি টাকা! পাশাপাশি রয়েছে বাটারফ্লাই দরজা, স্পেস-এজ ডিজাইন, যা অন-ট্র্যাক এবং অফ-ট্র্যাক দুই ক্ষেত্রেই দৃষ্টি কাড়ে।
হলান্ডের এই গাড়ি-প্রেম কেবলমাত্র বিলাসিতা নয়, তার ব্যক্তিত্বেরও প্রতিফলন—শক্তিশালী, দ্রুতগামী এবং সীমাহীন। আগামী শনিবার উলভসের বিপক্ষে সিটির মৌসুমের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে যেমন মাঠে গোল মেশিন চালু হবে, তেমনি মাঠের বাইরে তার গ্যারেজেও ‘ইঞ্জিন’ গর্জে উঠবে নিয়মিতই।
মন্তব্য করুন