বেশ কষ্টের সময় পার করছেন আর্জেন্টিনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার আলেহান্দ্রো গারনাচো। চলতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কোচ লিওনেল স্কালোনির চোখে আস্থা হারাচ্ছেন তিনি। এর ফলে আগামী বছর হওয়া বিশ্বকাপের আগে জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
রেড ডেভিলদের হয়ে গারনাচোর শেষ ম্যাচ ছিল ২১ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালে, যেখানে টটেনহ্যামের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে তার দল। চার দিন পর প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচেও তাকে দলে রাখা হয়নি। এ ছাড়া গত মৌসুমে ইউনাইটেড টেবিলের ১৫তম স্থানে শেষ করেছে এবং গারনাচোও আর্জেন্টিনার হয়ে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলতে পারেনি।
এদিকে ম্যানচেস্টারে তার অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপা লিগ ফাইনালের পর গারনাচো বলেছেন, ‘আমি এই মৌসুমে সব ম্যাচ খেলেছি, দলের জন্য সাহায্য করেছি, আর আজ মাত্র ২০ মিনিট খেললাম। এখন গ্রীষ্ম উপভোগ করব এবং দেখব পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয়।’
পাশাপাশি, জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ তাকে দলে নিতে চাইলেও গারনাচো একমাত্র চেলসিতে যেতে আগ্রহী। ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ ফাব্রিজিও রোমানো জানান গারনাচো চেলসির সঙ্গে চুক্তিতে এরই মধ্যে সম্মত হয়েছেন; শুধু ক্লাবগুলোর মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা বাকি। তবে এখানেও কাজটা সহজ নয়।
গারনাচো চেলসিতে খেলতে যে কোনো মূল্যে আগ্রহী এবং সেজন্য তিনি ম্যানইউকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন। তিনি তাদের জানান, ‘হয় আমাকে বিক্রি করো, নাহয় আমি ছয় থেকে বারো মাস খেলা ছাড়াই থাকব।’
এই হুমকি আবার জাতীয় দলের দরজা বন্ধ করে দিতে পারে। আলবেসিলেস্তেরাদের হয়ে গারনাচো বছরের শুরুতে উরুগুয়ে ও ব্রাজিল ম্যাচের প্রাথমিক তালিকায় ছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত দল থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মেসি ও দিবালার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও চিলি ও কলম্বিয়ার ম্যাচের জন্যও তার নাম নেই।
কোপা আমেরিকায় ভালো খেলার পর এবং অ্যাঞ্জেল দি মারিয়ার অবসরের পরও তার জায়গা সুনিশ্চিত মনে হলেও, বর্তমানে ফর্মে স্থিতিশীলতা না থাকার কারণে গারনাচোর স্বপ্ন—পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলা—বেশ ঝুঁকিতেই বলা চলে। নতুন ক্লাবে গিয়ে নিয়মিত খেলা এবং পারফর্ম করাই তাকে আবারও স্কালোনির সুনজরে ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন