স্যার আলেক্স ফার্গুসন তার অবসরের আগে একবার বলেছিলেন ফুটবল ছাড়া আমি আর কিছুতেই পারদর্শী না, জানি না এটি ছাড়া কীভাবে থাকব। স্যার আলেক্স পেরেছেন, কিন্তু পারলেন না ব্রাজিলের সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী কোচ লুই ফিলিপ স্কলারি।
সাত মাস আগে কোচিংকে বিদায় জানিয়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব আতলেটিকো পারানায়েন্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্কলারি। কিন্তু বেশিদিন ডাগআউটের টান উপেক্ষা করতে পারলেন না তিনি। ডাক আসতেই সাড়া দিলেন। অবসর ভেঙে ৭৪ বছর বয়সে কোচিংয়ে ফিরলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী এই কোচ।
ব্রাজিলিয়ান লিগের ক্লাব আতলেটিকো মিনেইরোর দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন এই অভিজ্ঞ কোচ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দলটির ডাগআউটে থাকবেন স্কলারি।
২০২২ সালের মে মাসের শুরুতে আতলেটিকো পারানায়েন্সের কোচ হন স্কলারি। তার হাত ধরে গত বছর কোপা লিবার্তদোরেসের ফাইনালে খেলে ব্রাজিলের দলটি। নভেম্বরে এসে কোচিংকে বিদায় বলে দলটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন তিনি।
৪০ বছরের দীর্ঘ ও বর্ণিল কোচিং ক্যারিয়ারে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে অনেক সাফল্য পেয়েছেন ‘বিগ ফিল’ ডাকনাম পাওয়া এই কোচ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় হয়ে আছেন ব্রাজিলের হয়ে তার দুই মেয়াদের ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্য। প্রথম মেয়াদে ২০০১ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সময়ে স্কলারি ব্রাজিলকে জেতান পঞ্চম ও দেশটির সর্বশেষ বিশ্বকাপ। এরপর ২০১২-১৪ মেয়াদে জেতেন ২০১৩ সালের ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ। তবে পরের বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেতে হয় অভিজ্ঞ এই কোচকে। সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে লজ্জাজনক হারের পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছেও হেরে যায় ব্রাজিল।
২০০৪ সালে তার অধীনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয় পর্তুগাল। তার কোচিংয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালও খেলে রোনালদো-ফিগোর পর্তুগাল। এরপর তিনি দায়িত্ব নেন ইংলিশ লিগের কোচ চেলসির। কিন্তু ব্যর্থতার কারণে সাত মাস পরেই বরখাস্ত হন তিনি।
ক্লাব পর্যায়ে স্কলারি সাফল্য পেয়েছেন ব্রাজিল ও চীনে। গ্রেমিও ও পালমেইরাসের হয়ে জেতেন লাতিন আমেরিকার সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা কোপা লিবের্তাদোরেস। চায়নিজ ক্লাব গুয়াংজু এভারগ্রান্দেকে জেতান চাইনিজ সুপার লিগ ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
মন্তব্য করুন