

‘এসো যুবক মাঠে লড়ি, মাদকমুক্ত দেশ গড়ি’—এই মহৎ প্রতিপাদ্যকে সঙ্গী করে উৎসবমুখর পরিবেশে সাভারের আশুলিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ধামসোনা ইউনিয়নের মাইঝাইল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠজুড়ে তৈরি হয় উপচে পড়া দর্শকের ভিড় আর উচ্ছ্বাসের ঢেউ। আশেপাশের এলাকা থেকে হাজারো ক্রীড়ামোদী মানুষ জড়ো হন খেলাটি উপভোগ করতে।
ফাইনালে মুখোমুখি হয় বন্ধু মহল একাদশ বনাম কাকরান একাদশ। শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল খেলার মাঠ। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় উভয় দলই একটি করে গোল করে সমতায় থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। উত্তেজনাপূর্ণ টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয়ের হাসি হাসে কাকরান একাদশ।
গ্যালারি ও মাঠজুড়ে দর্শকদের করতালি, বাঁশি, ঢোল আর উচ্ছ্বাসে পরিবেশ হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রিত উন্মাদনার প্রতিচ্ছবি। স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা বলেন, ‘অনেক দিন পর এমন আকর্ষণীয় খেলা দেখার সুযোগ হলো, যেন পুরো এলাকাই উৎসবে মেতেছে।’
টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাজী মো. আব্দুল্লাহিল কাফি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আইয়ুব খান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মালেক, ইউনিয়নের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ক্রীড়াবিদ ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
বিজয়ী দলকে পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আইয়ুব খান তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের এই মাঠে দাঁড়িয়ে আমি গর্বিত। কারণ খেলাধুলা মানে শুধু প্রতিযোগিতা নয়—এটা সৌহার্দ্য, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার শিক্ষা দেয়। আমাদের তরুণরা যদি মাঠে ফিরে আসে, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অসামাজিক কার্যকলাপ নিজ থেকেই সমাজ থেকে হারিয়ে যাবে।’
আয়োজক মহলের প্রশংসা করে তিনি ঘোষণা দেন, ‘আগামীতে আরও বড় পরিসরে মাঠ, ট্রফি ও সুবিধা নিশ্চিত করে এ আয়োজনকে নিয়মিত এবং স্থায়ী করতে আমরা কাজ করবো।’
পুরস্কার গ্রহণের পর বিজয়ী দল ও সমর্থকরা ঢোল, আতশবাজি ও স্লোগানে মাঠজুড়ে সৃষ্টি করে বিজয়ের উচ্ছ্বাস। পরাজিত দলকেও সমান সম্মান জানানো হয়—যা খেলাধুলার প্রকৃত সৌন্দর্যেরই প্রতিফলন।
মন্তব্য করুন