শুধু গুঞ্জন নয়, একরকম নিশ্চিতই ছিল। ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও আগাম জানিয়ে দিয়েছিল সবকিছু। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম তো আগেই ব্যালন ডি’অরের ওপর তার মুখও বসিয়ে দিয়েছিল। অপেক্ষাটা তাই ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটি এল সোমবার ফুটবলে আরও একবার নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা অধিনায়ক লিওনেল মেসি জিতে নিয়েছেন তার ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর। আর ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিজয়ীকে বরণ করে নিতে তার ক্লাব ইন্টার মায়ামি করছে বিশেষ এক আয়োজন।
গত সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতে প্যারিসের বিখ্যাত শ্যালে থিয়েটারে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ফ্রান্স ফুটবলের দেওয়া বিশ্বের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি মেসির হাতে তুলে দেন সাবেক ইংলিশ তারকা ডেভিড বেকহাম। এটি মেসির ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর।
এমন অর্জনকে ঘিরে নিউইয়র্ক সিটির বিপক্ষে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার ঘোষণা দিয়েছে ইন্টার মায়ামি। ঘরের মাঠ ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে আগামী ১০ নভেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া এই প্রদর্শনী ম্যাচের আগে থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠান। যেখানে ব্যালন ডি’অরের ট্রফি সবার সামনে তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে মায়ামির পক্ষ থেকে জর্জ মাস ও মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পক্ষ থেকে ডন গারবার বক্তব্য রাখবেন। থাকবে আরও কিছু বিশেষ আয়োজন।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সাল থেকে চলে আসা ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার মেসির হাতে প্রথম ওঠে ২০০৯ সালে। এরপর টানা ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সাল পর্যন্ত তার থেকে এ পুরস্কারটি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি। দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে পঞ্চম ব্যালন ডি’অর ট্রফি ওঠে মেসির হাতে। এরপর ২০১৯ সালে ষষ্ঠ আর ২০২১ সালে জেতেন সপ্তম ট্রফিটি। প্রথম ছয়টি জেতেন বার্সেলোনায় থাকতে। সপ্তমটি পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর। আর এবার রেকর্ডবুকে নাম লেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে। এবারই প্রথম ইউরোপের কোনো ক্লাবের বাইরে গেল বিখ্যাত এই ট্রফিটি।
মন্তব্য করুন